বিদেশে থাকায় অধরা মানবপাচারের মূলহোতারা

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৭

বাংলাদেশে দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে মানবপাচার। পাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। মূলহোতাদের অধিকাংশই থাকেন দেশের বাইরে। দেশে থাকা দালালের মাধ্যমে পরিচালনা করেন কাজ।


পাচার হওয়া ভুক্তভোগীরা অসচেতনতা কিংবা প্রমাণের অভাবে মামলা করলেও পাচ্ছেন না বিচার। আবার বিদেশে থাকায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনাও কঠিন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


হবিগঞ্জের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম (২৮)। পরিবারের হাল ধরতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দালালের প্রলোভনে মালয়েশিয়া যান। একমাস পর সেখান থেকে পাচারচক্র তাকে ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যায়। সেখানে তিন মাস আটকে রেখে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয় ১৮ লাখ টাকা। এরপর সমুদ্রপথে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিসমাস দ্বীপে। সেখানকার নৌবাহিনী তাকে আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠায়।


আজিজুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘দালাল আকাশ ও জাহাঙ্গীর আমাদের ১০ লাখ টাকায় অস্ট্রেলিয়া নিয়ে কাজ দেবে বলে চুক্তি করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা নেন, আর কাজ তো দূরের কথা, আমরা নির্যাতনের শিকার হই। দেশে ফিরে মামলা করেছি, কিন্তু আকাশ এখন মালয়েশিয়ায়। ওদের পাসপোর্ট, আইডি সব ভুয়া। এদের ধরাও কঠিন।’


জানা যায়, আজিজুলসহ মোট ৪১ জনকে একইভাবে ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ২৪ জন দেশে ফেরেন। তাদের মধ্যে একজন ইসরাফিল বিমানবন্দর থানায় ২২ জনকে আসামি করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন।


ইসরাফিল বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমাদের অনেক প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তিন মাস আমাদের আটকে রেখে নির্যাতন করেন। খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো দেয়নি, শুধু বাঁচিয়ে রেখেছে। পরে সমুদ্রে পাঁচদিন ভেসে আমরা ক্রিসমাস দ্বীপে পৌঁছাই, সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়।’


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও