
গঙ্গাচড়ায় ফিরল ৭ বছর আগের স্মৃতি, আলদাদপুর বালাপাড়ায় আতঙ্ক
মিছিল এসে যখন গ্রামের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট শুরু করল, সন্ধ্যা রানীরা কেবল জানটা নিয়ে সরে যেতে পেরেছিলেন। দুদিন পর গ্রামে ফিরে এলেও তাদের ভয় কাটছে না।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের শেষ সীমানায় আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রাম, সেইখানে সন্ধ্যা রানীর বাড়ি। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গত রোববার রাতে ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার আগে এলাকায় মাইকিং করে লোকজন জড়ো করা হয়।
পুলিশ, প্রশাসন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, যারা হামলা করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন ‘বহিরাগত’। পাশের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে লোকজন এসে হামলা চালিয়ে চলে যায়।
শনিবার রাতে এক দফা হামলার পর রোববার বিকালে দ্বিতীয় দফা হামলা হয় সেখানে। তখন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বাধা দিতে গিয়ে তারাও হামলার শিকার হন।
এরপর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি; গ্রেপ্তারও নেই।
হামলার পর আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের বেশ কিছু পরিবার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মঙ্গলবার বাড়ি ফিরলেও তাদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।
এলাকার পরিস্থিতি জানতে চাইলে গঙ্গাচড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, “এখান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ শুরু করেছে। প্রশাসন ভুক্তভোগীদের পাশে আছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”