
মিয়ানমারের বিরল খনিজে নজর যুক্তরাষ্ট্রের, বিদ্রোহীদের পক্ষে টানছে ট্রাম্প প্রশাসন
মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদের দিকে চোখ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মিয়ানমারের বিরল খনিজে চীনের কর্তৃত্ব সরিয়ে নিতে এবার ট্রাম্প প্রশাসন হাত মেলাচ্ছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে। এমনকি দেশটির ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে আসছে শিথিলতা, হচ্ছে প্রত্যাহারও। চারটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রদের ভাষ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের বিরল খনিজে কর্তৃত্ব নিতে খনি অঞ্চলগুলোতে থাকা জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে চুক্তি করতে হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনকে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ওয়াশিংটন। এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরবরাহ সংক্রান্ত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
মিয়ানমারের বিরল খনিজ হাতে পেতে যেসব প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের সামনে এসেছে তার মধ্যে একটি হলো, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশটির বিদ্রোহী গ্রুপ দ্য কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো। অন্য একটি প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, জান্তাকে উপেক্ষা করে সরাসরি কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে দেশটির সামরিক নেতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার পথ এড়িয়ে চলছে ওয়াশিংটন। এখন এসব প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরেছেন একজন মার্কিন ব্যবসায়িক লবিস্ট, অং সান সু চির সাবেক এক উপদেষ্টা, কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে পরোক্ষ সংলাপে যুক্ত কয়েকজন এবং কিছু বাইরের বিশেষজ্ঞ।
- ট্যাগ:
- আন্তর্জাতিক
- খনিজ সম্পদ
- বিরল
- ডোনাল্ড ট্রাম্প