মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: শিশুদের মানসিক আঘাত কাটতে সময় লাগবে

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:২০

আগুনে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল মানসিক ধাক্কাও সইতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক আঘাতের মাত্রাটা বেশি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিশুদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হঠাৎ বিমান ধসে আগুন ধরে যাওয়া, চোখের সামনে সহপাঠীদের মর্মান্তিক মৃত্যু হওয়া আর নিজেও নানা মাত্রায় দগ্ধ হওয়ায় তারা তীব্র মানসিক আঘাত পেয়েছে।


বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি রোগী যায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় একমাত্র বিশেষায়িত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটিতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৩৩ জন রোগী ভর্তি ছিল। তাদের মধ্যে শিশু ২৭ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থা ৩ জনের। তাদের মধ্যে একজন লাইফ সাপোর্টে।


গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইনস্টিটিউটে অবস্থান করে দেখা গেছে, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), অস্ত্রোপচার-পরবর্তী (পোস্ট-অপারেটিভ) ওয়ার্ড, হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটের (এইচডিইউ) সামনে চিন্তিত চেহারায় দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন নারী ও পুরুষ। তাঁরা চিকিৎসাধীন শিশুসহ রোগীদের স্বজন। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, অসহনীয় শারীরিক কষ্ট ছাড়াও সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তাঁরা চিন্তিত।


বার্ন ইনস্টিটিউটের তিনজন চিকিৎসক আলাপকালে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, দগ্ধ রোগীদের বিভিন্ন মানসিক আঘাত; যেমন ভয়, আঘাত-পরবর্তী সমস্যা (পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার—পিটিএসডি), উদ্বেগ, বিষণ্নতা বেশি থাকে। পোড়ার তীব্রতা, ব্যথা-জ্বলুনির মাত্রা এবং আগে থেকে বিদ্যমান মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো এ সময় আরও ঝুঁকি বাড়ায়। স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। শিশুদের মন কোমল। এই বয়সে এমন মারাত্মক পরিস্থিতির শিকার হলে তাদের মন বড় আঘাত পায়।


নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞান সাময়িকী এলসেভিয়ারের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আগুনে পোড়া বিশ্বব্যাপী একটি জনস্বাস্থ্য উদ্বেগের বিষয়। মনোসামাজিক প্রতিবন্ধকতা পোড়া রোগীদের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ। তাদের মধ্যে পিটিএসডি ও মেজর ডিপ্রেশনাল ডিসঅর্ডার (এমডিডি) বেশি দেখা যায়।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও