
ভোটের প্রস্তুতির আর ৫ মাস, নির্বিঘ্ন পরিবেশ কি হবে?
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের প্রস্তুতির জন্য বাকি রয়েছে মাত্র পাঁচ মাস; এর মধ্যে নির্বাচনের পরিবেশ কতটা উপযোগী হয়- সেদিকে নজর সবার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা। আর ভোট আয়োজনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করাই হবে ইসির চ্যালেঞ্জ। নিজেদের নিরপেক্ষ ভূমিকার পাশাপাশি ভোটের দায়িত্বে রাখতে হবে পক্ষপাতহীন কর্মকর্তাদের।
তারা বলছেন, জুলাই সনদের পাশাপাশি নির্বাচনি সব ধরনের আইনি সংস্কার শেষে দল ও অংশীজনের সংলাপ করে পুরোদমে দৃশ্যমান করতে হবে ভোটের কাজ। তাতে জনগণের মধ্যে নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশ ও ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশাও প্রতিফলিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে চলছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আইনশৃঙ্খলা যে বিষয়টা, এটা তো কনসার্ন মিনিস্ট্রি দেখবে। আমরা যতটুক বুঝতেছি, তারা সিরিয়াস। ওরা মিটিং করছে- পত্রপত্রিকায় দেখতেছি। তাদের লাইনে কাজ আগাচ্ছে।”
যথাসময়ে নির্বাচনি পরিবেশ সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে তিনি মনে করেন।
ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না ঘটে, সেজন্য বাহিনীগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত ৯ জুলাই নির্বাচন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি সংক্রান্ত সভায় সরকারপ্রধান এসব নির্দেশনা দেন। তার এক গুচ্ছ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য করণীয় অনুসন্ধান, ভোটকেন্দ্রকে সিসিটিভির আওতায় আনা।
ইসি বলছে, ভোট প্রস্তুতির ‘রুটিন’ কাজ হিসেবে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ হবে। আর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদে অনেক কিছুর সমাধান আসবে।