এতো শোক সইবো কেমন করে?

জাগো নিউজ ২৪ ড. হারুন রশীদ প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২৫, ১২:৪২

পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ সবচেয়ে ভারী বস্তু। সেটা যদি হয় ছোট ছোট কোমলমতিদের লাশ তাহলে তা বহন করা আরও দুঃসাধ্য। উত্তরার বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র সন্তান ফুটফুটে মেহেনাজ আক্তার হুমায়রাকে হারিয়ে দিশেহারা সখীপুর উপজেলার হতেয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দম্পতি। হুমায়রা মাইলস্টোন স্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তিনিও ওই প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষক। তার মতো অনেক পিতা-মাতাই শোকে বিহ্বল। কারণ তারাও যে হারিয়েছেন আদরের ধন। ছুটির পর যে স্কুল ক্যাম্পাস থাকতো কোলাহলে মুখর তা ভেসে গেল আর্তনাদে । স্কুল ছুটির পর জীবন থেকেও ছুটি নিলো কোমলমতিরা। মুহূর্তেই তারা হয়ে গেলো আকাশের তারা। বিষাদে ছেয়ে গেল আকাশ-বাতাস। এতো শোক যে সইবার নয়।


প্রশিক্ষণের সব ধাপ শেষে তৌকির ইসলাম প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাচ্ছিলেন গতকাল সোমবার। স্বপ্ন ছিল আকাশের অসীম নীল সীমানা পাড়ি দেওয়ার। পরিবারের লোকজনেরও এ নিয়ে উচ্ছ্বাসের কোনো অন্ত ছিল না। কিন্তু এটিই যে তার শেষ উড়াল হবে তা কে জানতো? উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই তার বিমানটি আছড়ে পরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে। বিকট শব্দে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। তখন স্কুলের ছাত্ররা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিল। বিধ্বস্ত বিমানে আগুন লেগে তা ক্লাশরুমে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারদিক। দাউ দাউ শিখায় জ্বলতে থাকে তাজা প্রাণ। এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় ক্যাম্পাসে।


খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে নিভে যায় অনেক প্রাণ। বহু আহত হয়। সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত ২০ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় পাইলটও প্রাণ হারান। সেই সঙ্গে শেষ হয় একজন তেজোদ্দীপ্ত তরুণের অমিত সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের।



কালকের সেই বিষাদময় দুপুরে মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসের কী অবস্থা ছিল তা এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন সেই স্কুলের শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাশ। সেই হৃদয় বিদারক দৃশ্যের কথা তুলে ধরে তিনি লিখেন-
‘স্কুল ছুটি হয় দুপুর একটায়। এরপর দুই ঘণ্টা কোচিংয়ের জন্য কিছু ছাত্রছাত্রী স্কুলে ছিল এবং যাদের অভিভাবক তখনও নিতে আসেনি, তারা অপেক্ষা করছিল।


দুপুর একটা ১০ কি ১৫ মিনিটে একটা জেট বিমান (বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান) ক্র্যাশ হয়ে দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী বিল্ডিংয়ে আগুন ধরে।


ওই বিল্ডিংয়ে বাংলা ভার্সনের ক্লাস থ্রি থেকে ফাইভ আর ইংরেজি ভার্সনের ক্লাস সিক্স থেকে এইটের বাচ্চাদের ক্লাস হয়। আমিও ওখানেই ক্লাস নিই।


আমি ক্লাস শেষ করে ঠিক যেখানে আগুনটা লেগেছে, ওই করিডোর পার হয়ে আমাদের টিচার্স রুমে গেছি। ততক্ষণে ওই বিল্ডিংয়ের আশি ভাগ বাচ্চারা বাড়ি চলে গেছে। এবং তখন বিল্ডিংয়ে ভয়ানক শব্দ, আমি কিছু বোঝার আগে দেখি, ছোট ছোট বাচ্চাগুলো দৌড়ে আসছে। দেখলাম, তাদের সারা গায়ে আগুন। আমি কোনো রকমে ওয়াশরুমে গিয়ে পানি ঢালছি দুই–তিনজনের গায়ে। এমন সময় একজন টিচার চিৎকার করে বলছেন, ‘পূর্ণিমা বের হোন। বের হোন।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও