যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমানোর দর-কষাকষির শুরু থেকে বেসরকারি খাত, অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে শুল্ক কমানোর বিষয়ে এখন খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না দেশের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত শুল্ক না কমলে তার ভুক্তভোগী হবেন রপ্তানিকারকেরা।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ক্রেতা এ দেশের রপ্তানিকারকদের জানিয়েছেন, দর–কষাকষিতে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এ কারণে সরকারের উদ্যোগ নিয়ে রপ্তানিকারকদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা বলছেন, দর-কষাকষির আড়াই মাস শেষে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের চেয়ে প্রতিযোগী দেশগুলো অনেক এগিয়ে আছে। অথচ পাল্টা শুল্ক কমানোর দর–কষাকষির জন্য বাংলাদেশের হাতে এখন সময় আছে ১০ দিন। সরকারের দুই দফা আলোচনা থেকে কোনো ফল না আসায় এখন এসে রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী ও বেসরকারি খাতের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার।
জানা যায়, পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এখন দর-কষাকষি করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দুই দফা ইউএসটিআরের সঙ্গে বৈঠক করে সরকার বুঝতে পারছে সংস্থাটির শুল্ক কমানোর এখতিয়ার নেই। শুল্ক কমাতে পারবে ট্রাম্প প্রশাসন। তাই ট্রাম্প প্রশাসনকে বোঝাতে গত সপ্তাহের শেষে লবিস্ট নিয়োগসহ যা যা করা সম্ভব, তা করতে বেসরকারি খাতকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে সরকারের শীর্ষ মহল। যদিও গত এপ্রিল থেকে ব্যবসায়ী নেতারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করার অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন। এমনকি গত এপ্রিলেই ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল সরকারকে। কিন্তু সরকার সেসব পরামর্শ আমলে নেয়নি। উল্টো সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক শীর্ষ ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেছিলেন তাঁরা সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।