
‘হুমায়ূন ভাইয়ের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকাটা ভীষণ দরকার ছিল’, স্মরণে মিমি
টেলিভিশনের যে সময়কে স্বর্ণযুগের ভেতরে ধরা হয়, সেই সময়ের একজন অভিনেত্রী আফসানা মিমি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চারটি নাটকে কাজ করেছেন। যে চারটি কাজই মিমিকে এনে দেয় দর্শকপ্রিয়তা।
সেইসাথে অভিনেত্রীকে এক অনন্য অভিজ্ঞতার স্বাদ দিয়েছিল 'কোথাও কেউ নেই', 'নক্ষত্রের রাত', 'সবুজ সাথী', এবং 'অদেখা ভুবন' নামের নাটকগুলো।
লেখক-নির্মাতার হুমায়ূন প্রয়াণ দিবস ঊনিশে জুলাইয়ে গ্লিটজের সঙ্গে আলাপে মিমি বলেছেন, এই পরিচালক ছিলেন এমন এক কারিগর, যিনি মানুষের ভেতরটা স্পর্শ করতে পারতেন।
এক কথায় হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কিছু বলতে চাইলে কি বলা যায় জানতে চাইলে মিমি বলেন, "উনাকে নিয়ে এক লাইনে বলতে চাইলে বলব, ভীষণ দরকার ছিল হুমায়ূন ভাইয়ের দীর্ঘদিন বেঁচে থাকাটা।"
কালজয়ী নাটক 'কোথাও কেউ নেই' এর বকুল চরিত্র দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের নাটকে মিমির কাজ শুরু।
তবে কাজ শুরুর বহু আগেই হুমায়ূনের নাটকের দর্শক ছিলেন মিমি।
তিনি বলেন,"দর্শক হিসেবে আমি উনার প্রথম নাটক দেখি 'এইসব দিনরাত্রি', তারপরে দেখেছি 'বহুব্রীহি' ও 'অয়োময়'। এরপর উনার সঙ্গে আমার কাজের সুযোগ হয়েছিল। উনার সঙ্গে আমি চারটা কাজ করেছি। উনি একজন মানুষ ছিলেন, যিনি মানুষের কলিজায় হাত দিতে পারতেন। "
হুমায়ূনের সঙ্গে চারটি কাজের পর আর কাজ করা হয়নি মিমির। এর পেছনে অভিনয় থেকে মিমির বিরতি এবং হুমায়ূনের পৃথিবী থেকে প্রস্থান নেওয়া, এই দুইটি কারণ কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যে অপূর্ণতার বেদনাও আজও মিমির মনে বাজে।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- স্মরণ
- হুমায়ূন আহমেদ
- আফসানা মিমি