গোপালগঞ্জের তাণ্ডব আ.লীগের ফাঁদ

যুগান্তর গোপালগঞ্জ প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৮

গোপালগঞ্জে পতিত স্বৈরাচারের নজিরবিহীন তাণ্ডব ঘিরে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে। কেউ বলছেন এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শান্তিপূর্ণ জুলাই পদযাত্রা এখানে এসে হোঁচট খেয়েছে। কেউ বলছেন এ ঘটনার মধ্য দিয়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নতুন করে রাজনৈতিক শক্তিমত্তা প্রদর্শনের সুযোগ পেল। এই শক্তি প্রদর্শনের জন্যই তারা ফাঁদ পেতেছিল। এসব নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। 


এদিকে গোপালগঞ্জের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতিতেও বড় ধরনের ঘাটতি নজরে আসছে। কেউ কেউ বলছেন ঘটনার অনেক কিছুই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ পুরো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পেছনে ফেলতেই নীলনকশনার অংশ হিসাবে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাদের মতে, মূলত গোপালগঞ্জের ঘটনা ছিল আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ। এখানে পতিত ফ্যাসিস্টের দোসরদের কারসাজি পরিষ্কার।


হামলার প্লট তৈরি : গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির কয়েকদিন আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা উসকানিমূলক প্রচারণা শুরু হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর সমাধি ভেঙে ফেলা হতে পারে এমন প্রচারণা রীতিমতো আগুনে ঘি ঢালে। অপতথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরই জের ধরে তলে তলে এনসিপি নেতাকর্মীদের প্রতিহতের ঘোষণাও দেওয়া হয়। দুর্বৃত্তরা রাতারাতি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওঠে। অথচ এর বিপরীতে সরকারের প্রস্তুতি ছিল দুর্বল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও তেমন সক্রিয়ভাবে মাঠে দেখা যায়নি। 


ঘটনার পর খোদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতির কথা স্বীকার করে নেন। তার দাবি-প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শত শত লোক শহরে জড়ো করা হয়। তারা সরাসরি হামলায় অংশ নেয়। 


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর ঠিক এই সময়ে ছাত্র-জনতার ওপর নৃশংস কায়দায় দমন অভিযান চালায় পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু চলতি জুলাইয়ের চিত্র ভিন্ন। এই মুহূর্তে সেই বর্বরতা প্রচারের বদলে মূল ধারার গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে চর্চা হচ্ছে গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ। এ ঘটনায় হতাহতদের ভিকটিম সাজিয়ে ফায়দা হাসিলের তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে। এমনকি জুলাই নৃশংসতার অনেক ভিডিও গোপালগঞ্জ সংঘর্ষ দমনের ভিডিও বলেও চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও