
পঞ্চাশের পরে দেহে ভারসাম্য হারালে যা করবেন
বয়স ৫০ পার করার পর শরীরে নানান রকম পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনকে অনেকেই ভয় বা সংকট হিসেবে দেখেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘সিম্পলি ওয়েলনেস’-এর পুষ্টিবিদ ও সমন্বিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সামান্থা পিটারসন ইটদিস ডটকম-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেন, “এটি আসলে একটি সংকেত। যা মূলত বলে শরীরের প্রয়োজনীয়তা বোঝার সময় এসেছে।”
এই বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন, “দেহ সবসময়ই জানায় সে কী চাইছে।”
তাই এই বয়সে বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) পুনরায় সক্রিয় করতে ভয়াবহ কোনো ডায়েট বা ‘ক্লিনজ’ নয়, বরং দরকার সচেতন জীবনযাত্রা ও কিছু সহজ পরিবর্তন।
সবসময় ক্লান্ত ও উদ্যমহীন লাগা
দিনভর ক্লান্তি ও মাথা ঝিমঝিম করার অনুভূতি যদি নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়, তবে বুঝতে হবে দেহের বিপাকক্রিয়ায় সমস্যা হয়েছে।
‘লুমেন’ নামক একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ব্রিয়া লফটন বলেন, “যখন কোষের শক্তি উৎপাদনকারী অংশ মাইটোকন্ড্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন শক্তি কমে যায় এবং মানসিক অস্পষ্টতা দেখা দেয়।”
সমাধান: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর রঙিন শাকসবজি, পর্যাপ্ত পানি ও প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মৃদু হাঁটাচলা, প্রাকৃতিক আলোতে সময় কাটানো ও পর্যাপ্ত ঘুম এই ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে।
অকারণে ওজন বেড়ে যাওয়া
খাদ্যাভ্যাস না বদলালেও যদি পেটে মেদ জমে যেতে থাকে, তবে এটি বিপাকের ভারসাম্য হারানোর অন্যতম বড় লক্ষণ।
ব্রিয়া বলেন, “৫০ পার করার পর বিশেষ করে নারীদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন হরমোন হ্রাস পেতে থাকে। এর ফলে পেটের চারপাশে মেদ জমে বেশি, যা বিপাকের গতি কমিয়ে দেয়।”
সমাধান: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট নিয়মিত ব্যায়াম (যেমন- হাঁটা, হালকা যোগব্যায়াম করা উপকারী। পাশাপাশি পরিমিত খাবার গ্রহণ ও চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পরিহার করতে হবে।