
বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘ফাইনালে’ চাপে শ্রীলঙ্কা
সনাৎ জয়াসুরিয়াকেও এমন প্রশ্ন নিতে হলো! শেষ টি-টোয়েন্টির আগে চাপে নেই তো শ্রীলঙ্কা? সিরিজে ১-১ সমতা। কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ যে দল জিতবে, সিরিজ জিতবে তারাই। ঘরের মাঠ হোক আর পরের মাঠ, এমন ম্যাচে যে কারোরই চাপে থাকার কথা।
ঘরের মাঠ বলে শ্রীলঙ্কার ওপর প্রত্যাশার চাপ একটু বেশি থাকবে স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশের ওপরও কি কম! কলম্বোর দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ দিন সকালেই হেরে যাওয়ার পর গলে প্রথম টেস্ট ড্রয়ের আনন্দটা আর থাকেনি। পাল্লেকেলের শেষ ওয়ানডেতে সিরিজ জয়ের হাতছানি পর্যবসিত হয়েছে বাজে ব্যাটিংয়ের হতাশায়। আজ কলম্বোয় আবারও এসেছে সিরিজ জয়ের সুযোগ। এবারও যদি বাংলাদেশ না পারে, কাল দেশে ফিরতে হবে অতৃপ্তি নিয়ে। একটি ড্র, দুটি জয়; তবু কোনো সিরিজই জিততে না পারাটা অন্তত সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে না।
জয়াসুরিয়া অবশ্য চাপ-টাপের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। টি-টোয়েন্টিও আমাদের জিতেই শেষ করতে হবে। খেলোয়াড়েরা ভালো খেলতে চায় এবং সে জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’ দলের কাছে ভালো ব্যাটিং চান জয়াসুরিয়া, বিশেষ করে ওপরের দিকের তিন ব্যাটসম্যানের কাছে তাঁর আশা বড় ইনিংস। অভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপের কাছে চান অভিজ্ঞতার ঝলকানি।
প্রেমাদাসায় কাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত পর্যন্ত গড়ানো শ্রীলঙ্কার অনুশীলনে বোলার-ব্যাটসম্যান সবার মধ্যেই দেখা গেছে শেষ মুহূর্তে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। শ্রীলঙ্কায় ম্যাচের আগের দিনও মাঝ উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ পায় স্বাগতিক ও সফরকারী দুই দলই। ম্যাচের উইকেটের দুই পাশের দুই উইকেটে টানা চলছিল ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন। টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং অনুশীলন মানে তো বুঝতেই পারছেন। একের পর এক বড় শট খেলে গেলেন ব্যাটসম্যানরা। কখনো এই নেট, কখনো ওই নেটে দাঁড়িয়ে কোচ জয়াসুরিয়া তা দেখছিলেন দর্শক হয়ে।