বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়ে শেখ হাসিনার 'পুতুল খেলা’র শেষ অধ্যায়

বিডি নিউজ ২৪ সালেহ উদ্দিন আহমদ প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৭:০৩

বাংলাদেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলকে ঘিরে দেশের মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। আমি সেটা টের পেয়েছিলাম ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, যখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে আমার একটি কলাম প্রকাশিত হয়—যার শিরোনাম ছিল: ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়ে শেখ হাসিনার পুতুল খেলা’। প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লেখাটি বিডিনিউজের ফেইসবুক পেইজ থেকে তিন হাজারের বেশি বার শেয়ার হয় এবং মন্তব্যের ঝড় বইয়ে যায়; কেউ কেউ পুতুল ও তার মায়ের সমর্থনে মন্তব্য করলেও, সমালোচনা, বলা ভালো নিন্দার সংখ্যাই ছিল বেশি।


সে লেখায় আমি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছিলাম—বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলের প্রার্থিতা বৈধ করার জন্য কী কী অবৈধ পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। তার জীবন-বৃত্তান্তে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা এবং নির্বাচনের প্রক্রিয়াটির অনিয়ম নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা ছিল সেখানে। আমি স্পষ্টভাবে লিখেছিলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ছয় শ’ মিলিয়ন ডলারের বাৎসরিক বাজেট পরিচালনা ও ১১টি দেশের দুইশ’ কোটির মতো মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার জন্য সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলের কোনো প্রয়োজনীয় যোগ্যতাই নেই।


আরেকটি বিষয়ে লেখাটিতে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছিল—সায়েমা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকায় বাংলাদেশ সরকারকে কীভাবে সংস্থাটির সেবা পেতে নানাবিধ অসঙ্গত ও অসমর্থনযোগ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল তখন। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, এই পদে একজন যোগ্য ব্যক্তি থাকা একান্ত প্রয়োজন, তিনি যে কোনো দেশেরই হোন না কেন। তাহলে বাংলাদেশ সরকার কি সায়েমা ওয়াজেদকে প্রত্যাহার করতে পারবে?



এর ঠিক এক মাস পর, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পুতুলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।


এরই ধারাবাহিকতায় দুদক সায়েমা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে এবং পরে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়—আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার প্রচারে সায়েমা ওয়াজেদ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। যা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারা (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) এবং ৪৭১ ধারা (জাল দলিল ব্যবহার) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


আরও অভিযোগ ওঠে, তিনি ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি দাতব্য সংস্থা গঠন করে এর প্রধান হিসেবে নিজের রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৮ লাখ মার্কিন ডলার) সংগ্রহ করেছেন এবং সেই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের একটি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও