
সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কমায় চাপে পড়বে সীমিত আয়ের মানুষ
ব্যাংকখাতে আস্থার সংকট প্রকট। এ খাতে বিনিয়োগ ঝুঁকি মনে করেন সীমিত আয়ের মানুষ। অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, নারী ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য ও আস্থার বিনিয়োগ মাধ্যম সঞ্চয়পত্র। এটি তাদের কাছে নিশ্চিত আয়ের উৎস। ছয় মাসের ব্যবধানে সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কমানোয় অখুশি বিনিয়োগকারীরা।
চলতি অর্থবছরের শুরুতেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর ঘোষণায় হতাশ সাধারণ গ্রাহক। সরকার বলছে, সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাড়িয়ে দিলে সবাই সঞ্চয়পত্র কিনবে, কেউ আর ব্যাংকে টাকা রাখবে না। এতে ব্যাংকগুলোতে লিকুইডিটির (তারল্য) ব্যাপার আছে। সবাই সঞ্চয়পত্র কিনলে ব্যাংক টাকা কোথায় পাবে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, সরকার সুদহার কমানোয় নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা চাপে পড়বেন। ৩০ জুন পর্যন্ত যে হার ছিল তাতে সবাই মোটামুটি ভালো মুনাফা পেতেন। অবসরপ্রাপ্তরা অনেকেই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের মুনাফার ওপর নির্ভরশীল। তাদের কাছে এক-দুই হাজার টাকা কম পাওয়া মানে চাপ বাড়া। যাদের কাজ করার শারীরিক সামর্থ্য নেই তাদের জন্য সঞ্চয়পত্রের চেয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো বিনিয়োগ ক্ষেত্র নেই।
মুনাফার হার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন
গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় স্কিমে মুনাফার হার আগামী ছয় মাসের জন্য কমিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে দেখা যায়, স্কিম অনুযায়ী এখন থেকে মুনাফার সর্বোচ্চ হার হবে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত। এর আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি এসব স্কিমে মুনাফার হার ছিল ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ সর্বোচ্চ হার থেকে কমানো হয়েছে প্রায় ০.৫৭ শতাংশ।