
কুয়েতের শ্রমবাজার: আড়াই হাজার টাকার ভিসা আট লাখেও ঠেকছে
চাঁদপুরের দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী পাঁচ বছর কাটিয়েছেন সৌদি আরবে। দেশে ফিরে মুদি দোকান দিয়ে সুবিধা করতে না পেরে চলতি বছর মে মাসের শেষ দিকে পাড়ি জমান কুয়েতে।
কিন্তু কুয়েত যেতে যে পয়সা খরচ হওয়ার কথা, তার চেয়ে অনেক বেশি, প্রায় সাত লাখ টাকা গুনতে হয় তাকে।
একই ধরনের অভিজ্ঞতা শোনালেন জুন মাসে কুয়েতে পা রাখা কুমিল্লার ইকবাল হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দালালের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা খরচ করে আসতে হয়েছে। টাকা জোগাড় করতে স্থানীয় একটি সমবায় সমিতি থেকে দুই লাখ টাকা ঋণও নিয়েছি।
“কাজ পেয়েছি, কিন্তু এখানে এসে দেখি, যে টাকা খরচ করে এসেছি, সেটা প্রকৃত খরচের কয়েক গুণ।”
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে বেশ জটিল ছিল। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যানুযায়ী, ২০০৭ সালে কুয়েতের ভিসা দেওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
সে বছর বাংলাদেশ থেকে মাত্র চার হাজার ২১২ জন কুয়েতে পাড়ি জমান। এরপর ২০০৮ সালে ৩১৯ জন, ২০০৯ সালে ১০ জন, ২০১০ সালে ৪৮ জন, ২০১১ সালে ২৯ জন, ২০১২ সালে দুজন এবং ২০১৩ সালে ছয়জন কুয়েতে যান।
এরপর দেশটিতে ভিসা কার্যক্রম কিছুটা শিথিল হলে ধীরে ধীরে অল্পবিস্তর বাংলাদেশি সেখানে যাওয়া শুরু করেন। আর এ জটিলতা ঘিরেই সেদেশে ভিসা দালালরা খরচ কয়েক গুণ বাড়িয়ে নেন।