
সবার চেয়ে এগিয়ে থাকতে যে ৯টি এআই দক্ষতা আপনার এখনই অর্জন করা উচিত
এখন থেকে এক বছর পরের কথা কল্পনা করুন। ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে কোন সেক্টরের মানুষ সবচেয়ে বেশি উপার্জন করবেন? প্রোগ্রামার বা প্রযুক্তিবিদেরা? না, শুধু তাঁরাই নন, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় দক্ষ মানুষেরাও থাকবেন এই তালিকায়। আপনি সাধারণ মানুষ নাকি সমাজে প্রতিষ্ঠিত, তাতে কিছু যায়-আসে না। বরং এআই ব্যবহারে আপনি কতটা দক্ষ, তাতে যাবে-আসবে অনেক কিছু। তবে এখনো দেরি হয়ে যায়নি। আপনি যদি প্রযুক্তি পছন্দ করেন, ব্যবসা করেন বা নিজের ক্যারিয়ারকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত রাখতে চান, তাহলে এই ৯টি এআই দক্ষতা আপনার জন্য। তাই পিছিয়ে পড়তে না চাইলে এখনই এসব জেনে নিন।
১. প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং: এআইয়ের সঙ্গে কথা বলুন
চ্যাটজিপিটিকে কিছু জিজ্ঞেস করে হতাশ হয়েছেন? চ্যাটবট আপনাকে এলোমেলো উত্তর দিয়েছে? এটা খুব সাধারণ ব্যাপার। হাল ছেড়ে দেবেন না। কারণ, আপনি এআইয়ের সঙ্গে সঠিকভাবে কথা বলতে পারেননি। তাই আপনাকে চ্যাটবট হতাশ করেছে। ওর থেকে সঠিক উত্তর পাওয়ার একটা গোপন রহস্য আছে। সেটা হলো প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং। মানে এআইয়ের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলুন, যাতে নিখুঁত ও নির্ভুল উত্তর দেয়।
২. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: কোডিং না জেনেও বানান অ্যাপ
আপনার মাথায় দারুণ সব আইডিয়া আছে, কিন্তু কোডিং করতে পারেন না? কোডিংয়ের কথা শুনলেই মাথার মধ্যে কেমন প্যাচ লেগে যায়? এখন আর এটা কোনো সমস্যা নয়। পাইথন বা জাভাস্ক্রিপ্ট জানারও দরকার নেই। এই সমস্যার সমাধান করে দেবে এআই। এ জন্য আপনাকে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে আসতে হবে না। রেপলাইট (Replit) বা কার্সর (Cursor)-এর মতো টুল দিয়ে সহজেই কোড লিখিয়ে নেওয়া যায়।
৩. ডিজাইন ও আর্ট: সৃজনশীলতা উন্মোচনের এই তো সময়
আগে এআইয়ের বানানো ছবি দেখতে খুব অদ্ভুত লাগত। তবে এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। এআই এখন নামকরা শিল্পীদের মতো ছবি আঁকতে পারে। আসল ছবি ও এআইয়ের আঁকা ছবি পাশাপাশি রাখলে আসলটা চেনা মুশকিল হয়ে যায়। এআইয়ের সাহায্যে এখন রিয়েলিস্টিক ছবি, লোগো, এমনকি ওয়েবসাইটও ডিজাইন করা যায়। ফটোশপের পরিবর্তে এখন মিডজার্নি, লিওনার্দো বা দাল-ইর মতো টুল দিয়ে নিজেই বানাতে পারবেন পেশাদার ছবি বা লোগো। আপনার হাতে আঁকা স্কেচও এআইয়ের সাহায্যে আরও সুন্দর করে নিতে পারেন।
৪. ভিডিও এডিটিং: ঘণ্টার কাজ শেষ হবে মিনিটে
আগে ভিডিও এডিট করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো। কেটে বাদ দিতে হতো অদরকারি কথা কিংবা অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো। এখন এআই এসব বিরক্তিকর কাজ করে দিতে পারে খুব দ্রুত। রানওয়ে এমএল (Runway ML), পিক্টোরি (Pictory), ডিস্ক্রিপ্ট (Descript)-এর মতো টুল ভিডিও এডিটিংয়ের ভোল পাল্টে দিয়েছে। এসব দিয়ে আপনি অনায়াসে অপ্রয়োজনীয় কথা, বিরতি, ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ মুছে ফেলতে পারবেন। যোগ করতে পারবেন সাবটাইটেল। এমনকি স্ক্রিপ্ট থেকে ভিডিও বানাতে পারবেন রেকর্ডিং ছাড়াই। আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হন বা ব্যবসায়ী, এআই এডিটিং টুলগুলো আপনার কাজের সময় ৭০ শতাংশ কমিয়ে দেবে। কাজের মানও থাকবে পেশাদার পর্যায়ে। তাহলে আর দেরি কেন, আজই কাজে লেগে যান!
- ট্যাগ:
- লাইফ
- স্মার্ট ক্যারিয়ার
- এআই টুল