জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ককে ‘অবাঞ্ছিত’ (পারসোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করেছে ভেনেজুয়েলার জাতীয় পরিষদ। মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, গুম ও বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন টুর্ক। তার কার্যালয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনিজুয়েলার মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি ঘটেছে।
এ ধরনের অভিযোগ তোলার পরিপ্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার টুর্ক জেনেভায় ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে গত এক বছরে নির্বিচারে আটক, যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া লঙ্ঘন ও গুমের অভিযোগ তোলেন। তবে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার তার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
এমনকি ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় টুর্কের প্রতিবেদনকে ‘আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েয়েছে।
নিকোলাস মাদুরোর ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাতীয় পরিষদের স্পিকার জর্জ রদ্রিগেজ টুর্কের কার্যালয়ের সঙ্গে তার দেশের সরকারের যেকোনো সম্পৃক্ততা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে এবারই প্রথম নয়, অতীতেও জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে অবাঞ্ছিত করেছিল ভেনেজুয়েলা। এই ‘অবাঞ্ছিত’ বা ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণায় তাৎক্ষণিক কোনো আইনগত কিংবা কূটনৈতিক প্রভাব পড়ে না। অতীতের মতো এবারও তেমনটিই ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।