
‘এক দিনের প্রধানমন্ত্রী’
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। বরখাস্তের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীত্ব চলে যায় দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রীর কাছে।
আজ বুধবার, শুধু এক দিনের জন্য এই দায়িত্ব পালন করবেন ৭০ বছর বয়সী অভিজ্ঞ থাই নেতা সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত।
এএফপির প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
যোগাযোগমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কর্মদিবস শুরু করেন ব্যাংককে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে। ওই অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় স্থাপনের ৯৩তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
মজার বিষয় হলো, যে কার্যালয়ের ৯৩ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছেন তিনি, সে কার্যালয়ের দায়িত্বে ৯৩ ঘণ্টাও থাকছেন না 'এক দিনের প্রধানমন্ত্রী' সুরিয়া।
ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা এ বিষয়টি নিয়ে সুরিয়ার মনোভাব জানতে চাইলেও তিনি এ প্রসঙ্গে কোন প্রশ্নের জবাব দেননি।
প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতিতে আছেন সুরিয়া।
তিনি জানান, তার কাছে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো 'একটি কাগজে সই করা', যার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার তার উত্তরসূরির কাছে যথাযথভাবে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন।
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত মঙ্গলবার জানায়, কম্বোডিয়ার সঙ্গে কূটনীতিক বিবাদে জড়িয়ে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারণ করা নৈতিকতার মানদণ্ড লঙ্ঘন করেছেন পেতংতার্ন, এমনটা সন্দেহ করার জন্য 'যথেষ্ঠ পরিমাণ কারণ' সম্পর্কে তারা অবগত আছে। এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনে তার প্রধানমন্ত্রীত্ব স্থগিত করে আদালত।
ক্ষমতাসীন দল ফেউ থাই পার্টি মঙ্গলবার দিনের শেষে জানায়, মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর ফুমথাম সহকারী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন, যা পদমর্যাদায় উপপ্রধানমন্ত্রীর চেয়ে উপরে। এ কারণেই মূলত 'এক দিনের মাথায়' দায়িত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন সুরিয়া।
এতদিন সিনেমার গল্পে এক দিনের প্রধানমন্ত্রীত্বের কথা শোনা গেলেও এর বাস্তব উদাহরণ আধুনিক সময়ে খুব বেশি নেই।
আজ দিনের শেষে জানা যাবে সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত কি গৎবাঁধা কাজ করেই তার প্রধানমন্ত্রীত্ব শেষ করবেন, না নতুন কোন চমক দেখাবেন!