২০২৪ সালটি ছিল তিন ব্যাংকের জন্য স্মরণীয়। কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক মুনাফা প্রথমবারের মতো এক হাজার কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। কিন্তু, অন্য নয় ব্যাংকের জন্য তা ছিল বড় কঠিন বছর, ক্রমবর্ধমান লোকসান থেকে টিকে থাকার মরণপণ লড়াই।
গত বছরের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সংস্কার হওয়ার পর ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থা বের হয়ে আসার পর এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কারণ গোপন থাকা খেলাপি ঋণের হিসাব প্রকাশ্যে এসেছে। তবে বর্তমানে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে ব্যাংকিং খাতকে রক্ষার পাশাপাশি এ খাতে প্রশাসনিক উন্নতি নিয়ে কাজ হচ্ছে।
দ্য ডেইলি স্টারের বিশ্লেষণে দেখা গেছে—সুশাসনকে কাজে লাগিয়ে ও গ্রাহক আস্থাকে পুঁজি করে গত বছর তিন ব্যাংক এক হাজার কোটি টাকার মুনাফার মাইলফলক পার করেছে।
দেশের ৫০ ব্যাংকের সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই বিশ্লেষণটি সাজানো হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ আর্থিক প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ না করায় তা পর্যালোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
মুনাফা অর্জনকারীদের ব্যাংকগুলোর তালিকার শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি রেকর্ড তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এটি দেশের কোনো একটি ব্যাংকের বার্ষিক সর্বোচ্চ মুনাফা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছিল দুই হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। এরপরের বছর মুনাফা হয়েছে ৪১ শতাংশ বেশি।
ব্র্যাক ব্যাংক, এইচএসবিসি বাংলাদেশ ও সিটি ব্যাংকও প্রথমবারের মতো এক হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আগের বছরের হিসাবে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৭৩ শতাংশ ও সিটি ব্যাংকের বেড়েছে ৬০ শতাংশ