
ব্যায়াম কি স্বাভাবিক প্রসবে সহায়ক
স্বাভাবিক প্রসব বা নরমাল ডেলিভারি অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। মায়ের ও গর্ভে থাকা সন্তানের শারীরিক অবস্থা নির্দেশ করে প্রসব স্বাভাবিক হবে নাকি অস্ত্রোপচার দরকার হতে পারে। তবে সবকিছু স্বাভাবিক ও মা–শিশু সুস্থ থাকলে স্বাভাবিক প্রসবের জন্য চেষ্টা করা হয়। গর্ভাবস্থায় সঠিক ব্যায়াম এই প্রক্রিয়াকে সহজ, নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ব্যায়ামের উপকারিতা
- ব্যায়াম শরীরকে প্রসবের জন্য প্রস্তুত করে। পেট, পিঠ, পেলভিস ও ঊরুর পেশিকে শক্তিশালী করে। গর্ভধারণ ও প্রসবের সময় যেসব পেশি বেশি ব্যবহৃত হয়, সেগুলো সুসংহত হয়ে ওঠে।
- ব্যায়াম প্রসবকালীন ব্যথা সহ্য করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়ামে শরীরের সহনশক্তি বাড়ে, ফলে প্রসবের সময় ব্যথা সহজে সহ্য করা যায়।
- শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষ কিছু ব্যায়াম, যেমন ডিপ ব্রিদিং ও ল্যামাজ পদ্ধতি প্রসবের সময় শান্ত থাকতে সাহায্য করে।
- শিশুর সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করে। কিছু ব্যায়াম, যেমন ‘পেলভিক টিল্ট’ বা ‘ক্যাট-কাউ স্ট্রেচ’ গর্ভের ভেতরে শিশুকে সঠিক অবস্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
- প্রসবকালীন সময়ক্ষেপণ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়ামে পেশি নমনীয় ও সচল থাকে। ফলে প্রসবকাল দ্রুত ও সহজ হয়।
- কবজি, কোমর ও মেরুদণ্ডের চাপ কমায়। ব্যায়াম করলে পিঠে ব্যথা কমে ও শরীরের ভারসাম্য রক্ষা হয়।
গর্ভাবস্থায় যেসব ব্যায়াম করবেন
হাঁটা: রোজ হালকা হাঁটাহাঁটি পায়ের রক্তসঞ্চালন উন্নত করে, ক্লান্তি কমায় ও মন ভালো রাখে।
কেগেল ব্যায়াম: মাংসপেশি শক্তিশালী করে, প্রসব সহজ হয় এবং প্রসব–পরবর্তী প্রস্রাব ধরে না রাখতে পারার সমস্যাও কমায়।
স্কোয়াটস: পেলভিক অঞ্চল খুলে দেয়, শিশুকে নিচে নামতে সাহায্য করে।
ক্যাট-কাউ স্ট্রেচ
মেরুদণ্ড নমনীয় রাখে, শিশুর অবস্থান ‘হেড ডাউন’ করতে সাহায্য করে।
পেলভিক টিল্ট: কোমরব্যথা কমায় ও মাংসপেশিকে সচল রাখে।
ডিপ ব্রিদিং: মানসিক চাপ কমায়, প্রসবের সময় মনোযোগ ও নিয়ন্ত্রণ বাড়ায়।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- ব্যায়াম
- গর্ভাবস্থা