
অদৃশ্য যুদ্ধের ছায়া
ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ গোয়েন্দা ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অভিযান হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি আধুনিক যুদ্ধের এমন এক দৃষ্টান্ত, যেখানে কোনো গুলি ছোড়া হয় না, কোনো সেনা সীমান্ত অতিক্রম করে না, তবুও একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাঠামো ভেতর থেকে ভেঙে ফেলা হয় প্রযুক্তি, প্রতারণা ও নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে। এ মিশন গোয়েন্দা যুদ্ধের সংজ্ঞা পালটে দিয়েছে-যেখানে ট্যাঙ্ক ও সৈন্য নয়, বরং ড্রোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, গভীর গোপন অপারেটিভ, সাইবার অনুপ্রবেশ ও মনস্তাত্ত্বিক চাতুর্যই বড় হাতিয়ার।
বাংলাদেশের জন্য এটি কেবল একটি আন্তর্জাতিক ঘটনা নয়, বরং এটি এক গভীর জাতীয় উদ্বেগের বিষয়। কারণ বাংলাদেশেরও রয়েছে একটি প্রভাবশালী ও উত্তপ্ত প্রতিবেশী-ভারত, যার সঙ্গে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সামরিক ও গোয়েন্দা সম্পর্ক বিদ্যমান। এ সম্পর্ক শুধু প্রতিরক্ষা ক্রয়-বিক্রয়েই সীমাবদ্ধ নয়; বরং সাইবার নিরাপত্তা, নজরদারি প্রযুক্তি এবং আভিযানিক কৌশলেও দুই দেশের সমন্বয় বহু দূর এগিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিকভাবে এসব কার্যক্রম দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা হিসাবে উপস্থাপিত হলেও বাংলাদেশ ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের জন্য এটি একটি সুপ্ত হুমকি হিসাবে রয়ে গেছে।