আমি যে কতটা রোমান্টিক, দর্শক এটা বুঝতে পারছেন না

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৫, ১৯:০৪

ঈদুল আজহায় একমাত্র নারীপ্রধান ছবি ছিল এশা মার্ডার: কর্মফল। সিনেমাটি মুক্তির ২২ দিন পরও প্রথম দিনের মতোই বিভিন্ন সিনেমা হলে ছুটছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তাঁর কাছ থেকে সিনেমাটির শুটিং ও অন্যান্য ব্যস্ততার কথা শুনলেন মনজুরুল আলম।


কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল শাখায় মনোনয়ন পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা রেহানা দিয়ে আলোচনায় আসেন বাঁধন। সিনেমাটি দিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন। এরপর কোন সিনেমায় নাম লেখাবেন, সেটা নিয়ে দোটানায় পড়ে যান। একসময় মনে হয়, এই প্রাপ্তি বোঝা না হোক। সেটাকে কাঁধে নিয়েই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে। বাঁধনের মতে, ‘আরেকটি অর্জনের জন্য কি আরও ৫০ বছর অপেক্ষা করব? প্রাপ্তির জায়গায় প্রাপ্তি রেখে আমি ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চাই। আমাকে কাজ করে যেতে হবে।’


চরিত্র যখন বাস্তবের কাছে


প্রথমবার পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা হয়েছেন বাঁধন। চেয়েছিলেন এমন এক পুলিশ কর্মকর্তা হতে, যার মধ্যে নায়কোচিত কোনো কিছু থাকবে না। যে হবে রক্তে–মাংসে সাধারণ মানুষের মতো। এ জন্য পরিচালক সানী সানোয়ারকে কৃতিত্ব দিলেন বাঁধন। লিনা চরিত্রের পেছনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে থেকেছি। তাঁরা কীভাবে কথা বলেন, হাঁটাচলা করেন, কোন ঘটনার কী এক্সপ্রেশন দেন, কাছ থেকে দেখেছি। এগুলোই আমাকে শক্তি দিয়েছে। যে কারণে পুলিশ চরিত্রে রীনা দর্শকদের কাছ থেকে সহমর্মিতা পাচ্ছে।’


রেহানা থেকে লিনা


দর্শনগত জায়গায় রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমার রেহানা আর এশা মার্ডার সিনেমার লিনার অনেক মিল। বাঁধন বললেন, এটা ইচ্ছাকৃত নয়। তিনি জানান, নৈতিক জায়গা থেকে অনেকটা মিল হলেও লিনা চরিত্রের বৈচিত্র্য তাঁকে মুগ্ধ করেছে। দুটি চরিত্রই নারী দর্শকেরা পছন্দ করেছেন। এমনকি নিজের সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। ‘২২ দিন ধরে টানা হলে যাচ্ছি। যাঁরাই সিনেমা দেখে বের হচ্ছেন, তাঁরাই বলছেন, চরিত্রটি অনেক সাহসী। বুঝতে পারি এটা নারীদের হয়ে কথা বলে। আবার পুরুষ দর্শকেরা বলছেন, আমার বাস্তব জীবনের মতোই চরিত্রটি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমার অংশগ্রহণ, ভূমিকা যা দেখেছেন, সেগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে প্রশংসা করেন। এটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা,’ বলেন বাঁধন।


‘আমি কিন্তু রোমান্টিক’


কখনো শিক্ষক, কখনো পুলিশের প্রতিবাদী নারী চরিত্রে দেখা গেলেও নিজেকে ভিন্নভাবে পর্দায় দেখতে চান এই অভিনেত্রী। কারণ হিসেবে জানালেন, বেশির ভাগ দর্শকই নাকি মনে করেন বাঁধন প্রতিবাদী ও ভিন্ন ধরনের গল্পে অভিনয় করেন। এই ট্যাগ তিনি ভাঙতে চান। ‘নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করার আমার খুব ইচ্ছা। আবার রোমান্টিক, হরর, অ্যাকশন—এসব গল্পও করতে চাই। আমি কতটা রোমান্টিক, এটা দর্শক বুঝতে পারছেন না। আমি কিন্তু অনেক রোমান্টিক। সেই গল্পও করব,’ বলেন বাঁধন। রোমান্টিক ও অ্যাকশন সিনেমার জন্য রায়হান রাফীর সঙ্গে কাজ করতে চান।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও