চিকুনগুনিয়া নিয়ে সতর্কতার এখনই সময়

যুগান্তর প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৫, ১২:৫৬

বর্তমান সময়ের বড় স্বাস্থ্য সমস্যা চিকুনগুনিয়া। এ শতাব্দীর শুরুতে ডেঙ্গু যখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে, তা এ রকমই আলোড়ন তুলেছিল। রোগটি ততটা ভয়াবহ বা জীবনঘাতী নয়- চিকিৎসকদের এমন শত আশ্বাসবাণী সত্ত্বেও রোগীরা যেন ভরসা রাখতে পারছে না। এক পরিবারের কারও হলে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগটি মহামারি না হলেও এটা যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। বিস্তারিত লিখেছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ


* কেন হয়


রোগটি ভাইরাসজনিত, ডেঙ্গুজ্বরের মতো এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবোপিক্টাস মশার কামড়ের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। চিকুনগুনিয়া মানবদেহ থেকে মশা এবং মশা থেকে মানবদেহে ছড়ায়। মানুষ ছাড়াও বানর, পাখি, তীক্ষ্ন দন্তযুক্ত প্রাণী যেমন-ইঁদুর, এ প্রাণীতে ভাইরাসের জীবনচক্র বিদ্যমান। মশা কামড় দেওয়ার ৪ থেকে ৮ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।


* শরীরে কতদিন ভাইরাসটি থাকে


চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস সাধারণত এক সপ্তাহ পর্যন্ত শরীরে বা রক্তে বিদ্যমান থাকে। এ সময় এডিস মশা রোগীকে কামড় দিলে সেই মশার মাধ্যমে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। অর্থাৎ সংক্রমিত মশা থেকে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এ সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৫-৭ দিন পর রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এরপর শরীরে আর ভাইরাস থাকে না।


* লক্ষণ


রোগের শুরুতে প্রচণ্ড জ্বর, বমি বমি ভাব বা বমি, মাথাব্যথা, শরীর দুর্বল, শরীরে লাল র‌্যাশ এবং সর্বশরীরে বিশেষ করে মাংসপেশি, মেরুদণ্ড বা অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা, এমনকি ফোলাও থাকে। যার কারণে চলাফেরা কঠিন হয়ে যায়। প্রচণ্ড জ্বরে রোগী অচেতনও হতে পারে। তিন-চার দিনের মাথায় জ্বর সেরে যাওয়ার পরও অনেকেই দুর্বলতা, অরুচি এবং বমিভাব অনুভব করেন। কারও কারও ভাষায় জীবনের প্রতি চলে আসে বিতৃষ্ণা। আবার কিছু রোগী তীব্র গিঁটের ব্যথায় ভোগে, ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এ সমস্যা কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও