
নামের ভুলে বেতন বন্ধ ৫,০০০ শিক্ষক-কর্মচারীর
জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধনের পরও বেতন পাচ্ছেন না এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী। এ অবস্থায় অর্থসংকটে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বর্তমানে দেশে ২৯ হাজার ১৬৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি। এসব প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৫ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। কিন্তু নাম-জন্মতারিখের সামান্য অমিলের কারণে এসব কর্মজীবীর কয়েক হাজার জন ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের পরও সাত-আট মাস ধরে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক- কর্মচারীর বেতন বন্ধ। এর কারণ অটোমেটেড চালান সিস্টেম (আইবাস) প্লাস প্লাস আপডেট না হওয়া।
জানা যায়, এত দিন প্রতি মাসে মাউশির হিসাব শাখা থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হতো। অনেক সময় বিভিন্ন জটিলতার কারণে তাঁরা দেরিতে বেতন-ভাতা পেতেন। মূলত স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বেতন-ভাতা দিতেই ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতি চালু করে সরকার। গত ১ জানুয়ারি মাউশির অধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, অবসর ও কল্যাণ সুবিধা ইএফটির মাধ্যমে দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তখনকার শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এমপিও হলো মান্থলি পে অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পান।