জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। পরে শিক্ষার্থীদের জোরালো দাবির মুখে হলের ভেতরে ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, দলীয় লেজুড়বৃত্তির বেড়াজালে সেই সিদ্ধান্ত শুধু কাগজে-কলমে রয়ে গেছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন নিজস্ব ব্যানারে চালাচ্ছে কার্যক্রম। পাশাপাশি জনহিতকর ও শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রমও পরিচালনা করছে তারা। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে যেমন রয়েছে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা তেমনি চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রসংগঠনগুলো বাগযুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
শিক্ষার্থীদের মতে, সহাবস্থানের রাজনীতি ছেড়ে ছাত্রসংগঠনগুলো দ্বন্দ্বের পথেই হাঁটছে। যতটা না তাদের মধ্যে একে-অপরের প্রতি সহমর্মিতা থাকার কথা, তার থেকে বেশি বিদ্বেষ পরিলক্ষিত হচ্ছে।