বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য নির্দেশ করে। এটি আমদানি ব্যয় মেটাতে, মুদ্রার মান স্থিতিশীল রাখতে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে সহায়তা করে। বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলার জন্যও রিজার্ভ গুরুত্বপূর্ণ।
একটি দেশের জন্য তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকাকে নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এর মানে হলো, যদি কোনো দেশ তিন মাস ধরে কোনো পণ্য আমদানি করতে না পারে, তবে তাদের রিজার্ভ তাদের সেই সময়টুকু কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। সাধারণভাবে, একটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যত বেশি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা তত ভালো বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২৪ জুন) পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭৩০ কোটি ৬০ লাখ ডলার বা প্রায় ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ২২৪ কোটি ৫৭ লাখ ডলার বা ২২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।