বাংলাদেশের মোট সীমান্তবর্তী জেলা ৩২টি। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ৩০টির। মিয়ানমারের সঙ্গে জুড়ে আছে তিনটি জেলা। রাঙ্গামাটি একমাত্র জেলা যার সঙ্গে ভারত-মিয়ানমার উভয়ের সীমান্ত রয়েছে। এসব সীমান্তই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদক বিস্তারের।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) তথ্য বলছে, দেশের ২৯টি সীমান্তবর্তী জেলার ১৬২টি রুট দিয়ে দেশে দেদারছে প্রবেশ করছে মাদক। দেশের সীমান্তগুলো হয়ে উঠছে মাদকের অন্যতম রুট। এসব রুটের কারণেই মাদক নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে উঠছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিত্যনতুন কৌশলে ইয়াবা, আইস, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, টপেন্টাডল, কোকেনের মতো ভয়াবহ মাদক সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
ধনাঢ্যদের সন্তানদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলএসডি, আইসের মতো পশ্চিমা মাদকগুলো। একই সঙ্গে হেরোইন প্রবেশের শঙ্কা বাড়িয়েছে মিয়ানমারের পাহাড়ি অঞ্চলে পপি চাষ বৃদ্ধি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বড় গলায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলা হলেও বাস্তবে তাদের প্রভাবশালী মহলই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে অনেকটা আড়ালে চলে যায় মাদকের সেই প্রভাবশালী মহল। কিন্তু ঠিকই অন্যপক্ষ এই কারবারের নেতৃত্বে চলে এসেছে। নেপথ্যে থেকে এই মহলকে ইন্ধন দিচ্ছেন পুরোনো সেই মহলের সদস্যরাই।