ধর্ষিতার সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ে কেমন সমাধান?

জাগো নিউজ ২৪ শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৫, ১৩:১৮

বাংলাদেশের আইনে যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ধর্ষণ বা ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনায় বাদি-বিবাদির মধ্যে আপস-মীমাংসার কোনো প্রশ্নই আসে না, সেখানে কেন বারবার এইধরনের মামলার আসামি ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে বিয়ে করার সুযোগ পাচ্ছে? এবং সেই সূত্রে বিচারের হাত থেকে পার পেয়ে যাচ্ছে?


ধর্ষণের ঘটনায় কোনো সালিশ হয় না, অথচ দেখছি ধর্ষণের শিকার নারীর সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ের ঘটনা বিচারিক আদালতে উঠে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আদালতের নির্দেশে ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে বলেছেন যে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে কোনো সমাধান নয়, এবং আইন অনুযায়ী ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।


প্রথম আলোতে ২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে সাড়ে ৬ বছরের শিশু থেকে শুরু করে কিশোরী ও তরুণী ভুক্তভোগীর বিয়ের অন্তত ২০টি খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি বিয়ে টিকে না থাকার তথ্যের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।


এর মানে হচ্ছে এই ধরনের বিয়েকে ‘মুক্তি বা জামিন পাওয়ার ফাঁদ’ হিসেবে ব্যবহার করে অপরাধী ও তার পরিবার। মেয়েপক্ষও মেয়েকে ’ধর্ষণের শিকার হওয়ার’ ও ‘ধর্ষণের কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়ার লজ্জার’ হাত থেকে রক্ষার জন্য এই বন্দোবস্ত মেনে নিতে বাধ্য হন।



‘ল্যান্ডমার্ক জাজমেন্টস অন ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন অব বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান’ শীর্ষক বইটিতে বিচারপতি গোলাম রাব্বানী মন্তব্য করেছিলেন, “ধর্ষণ এমন একটি অপরাধ, যা শুধু ভুক্তভোগীকে নয়, পুরো সমাজকে আঘাত করে।” কাজেই সেরকম একটি অপরাধ করে অপরাধী বিয়ে করে পার পেয়ে যায় কোন যুক্তিতে?


বাংলাদেশে ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ের প্রথা আইনসিদ্ধ নয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ অনুযায়ী ধর্ষণ একটি গুরুতর অপরাধ, এবং এর কোনো আপস-মীমাংসা বা বিয়ের মাধ্যমে সমাধানের বিধান নেই। এই আইনের ধারা ৯ অনুযায়ী ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে, এবং এটি একটি অ-আপসযোগ্য অপরাধ। তবে বাস্তবে কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক চাপ, পারিবারিক সিদ্ধান্ত বা স্থানীয় মধ্যস্থতার কারণে ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, যা আইনের চেতনার পরিপন্থি।


পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র কেউ ভাবে না একজন ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে হলে সেই মেয়ে মানসিকভাবে কতটা বিপর্যস্ত হতে পারে। এমনও দেখা গেছে, বিয়ে করার পর ধর্ষকের জামিন হয়ে গেলে মেয়েটিকে সে তালাক দিয়ে দেয়, তখন কারো কিছু আর বলার থাকে না। বরং ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাকে আবারও নির্যাতন সহ্য করার নতুন একটা ব্যবস্থা করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও