আগামী নির্বাচনে বিএনপি কতগুলো আসন পাবে?

ডেইলি স্টার আমীন আল রশীদ প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৫, ১২:৫৭

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পরে জনপরিসরের আলোচনা হচ্ছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হবে এবং সরকার গঠন করবে। অনেকে এমনও বলার চেষ্টা করেছেন, বিএনপি আড়াইশো আসনে জিতবে। বিশেষ করে বিএনপির অনেক নেতার ধারণা এরকমই।


উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গত ২৭ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবদলের ইফতার মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নির্বাচন হলে বিএনপি একাই ৯০ ভাগের বেশি আসন পাবে।'


সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিএনপির 'বিপুল জনপ্রিয়তার' এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তার দাবি, বিএনপির এখন যে পরিস্থিতি, তাতে আগামী নির্বাচনে ৫০ থেকে ১০০টির বেশি আসন পাবে না। তার ভাষায়, 'বিএনপির লিডারশিপ পুরোটাই ফেইলিওর। আমরা মনে করি না বিএনপি নির্বাচনে বিজয়ী হবে।'


হারুনুর রশিদ আর নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী দুজনই 'পরিস্থিতি' শব্দটিতে জোর দিয়েছেন। একজন মনে করছেন পরিস্থিতি পুরোপুরি অনুকূলে, অন্যজন মনে করছেন পরিস্থিতি বিএনপির অনুকূলে নেই।


এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন এই 'পরিস্থিতির' জন্য দলটির নেতৃত্বকে দায়ী করছেন। অর্থাৎ, বিএনপির জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি সন্দেহ পোষণ করছেন না, বরং দলের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা বলছেন।



বিএনপির বর্তমান পরিস্থিতি কেমন, সেটা গণমাধ্যমে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে সারা দেশে তাদের বিরুদ্ধে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন ও সংঘর্ষের যেসব খবর প্রতিনিয়তই সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষকে বলতে শোনা যায়—সরকার গঠনের আগেই এই অবস্থা, সরকার গঠন হয়ে গেলে কী করবে!


দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বারবারই এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সতর্ক করছেন। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব বন্ধ হচ্ছে না।


বাস্তবতা হলো, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রায় ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকায় আর্থিক, শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এমনকি পারিবারিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাহলে কি এখন একসঙ্গে সব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাচ্ছেন? তারচেয়ে বড় কথা, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা দলের জন্য কাজ করার বিনিময়ে কী পাবেন, মূলধারার কোনো দলেরই সেই পরিকল্পনা নেই— দুয়েকটি ছাড়া। অর্থাৎ দলের নেতাকর্মীরা দলের জন্য কাজ করেন মূলত পদ-পদবি, ঠিকাদারি, চাঁদাবাজি ইত্যাদির লাইসেন্স পাওয়ার জন্য। অধিকাংশ দলেরই কোনো অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেই যে, তাদের নেতাকর্মীরা দলের জন্য কাজ করার বিনিময়ে সম্মানজনক উপায়ে কী কী পাবেন। ফলে যখনই সুযোগ আসে, তারা যেকোনো উপায়ে টাকা কামাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।


প্রশ্ন হলো, বিএনপি ৯০ শতাংশের বেশি আসন পাবে—এই কথা হারুনুর রশিদ কিসের ভিত্তিতে বললেন? তারা জরিপ করেছেন? একইভাবে বিএনপি ৫০ থেকে ১০০টির বেশি আসন পাবে না—এই কথা নাসীরুদ্দীনের ব্যক্তিগত ধারণা, নাকি তার দলও এমনটা মনে করে? তারাই বা এই অংক কীভাবে জানলেন? মাঠপর্যায়ে কোনো জরিপ চালিয়েছেন? নাকি এটি নিতান্তই কথার কথা?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও