ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মান–অভিমান ও সহমত–দ্বিমত

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৫, ১৩:৫২

‘লন্ডন বৈঠকের’ পর মনে হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় গতি এসেছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে যে কালো মেঘ ঘনীভূত হয়েছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। 


সার্বিকভাবে নির্বাচনী রাজনীতিতে কতটা সুবাতাস এসেছে, সেই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তলেতলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। 


জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার প্রথম তিন দিনের বৈঠকে বেশ কিছু নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে। দেশবাসী কোনো কোনো দলের মান–অভিমানও প্রত্যক্ষ করল। লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকে যে ‘সমঝোতা’ হলো, জামায়াত ও এনসিপি তা ভালোভাবে নেয়নি। তারা বলেছে, এর মাধ্যমে সরকার একটি দলের প্রতি ঝুঁকে গেছে। প্রতিবাদস্বরূপ জামায়াত অভিমান করে প্রথম দিনের বৈঠকে যোগ দেয়নি।


প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে অনুরোধ পাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে তারা অংশ নেয় এবং নজিরবিহীনভাবে তিন নেতা বক্তব্য দেন। জামায়াত নেতাদের বেশি সময় দেওয়া ও গণফোরাম নেতার বক্তৃতায় বাধাদানের প্রতিবাদে সম্মেলনকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান সিপিবি, ১২–দলীয় জোট ও গণফোরামের নেতারা। কিছুক্ষণ পর অবশ্য তাঁরা ফিরে যান। 



এসব মান–অভিমান সত্ত্বেও ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে, যা রাজনৈতিক সমঝোতার পূর্বাভাস বলে ধারণা করি। সংবিধানে জগদ্দল পাথরের মতো যে ৭০ অনুচ্ছেদ চেপে বসেছিল, সেটা সরানো গেছে। সব দল একমত হয়েছে যে অর্থবিল, সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব ও যুদ্ধাবস্থা ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে ও ভোট দিতে পারবেন।


৭০ অনুচ্ছেদ দিয়ে সংসদ সদস্যদের হাত–পা ও মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন তাঁরা যেকোনো আইনকে জনস্বার্থবিরোধী মনে করলে বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। এই স্বাধীনতাটুকু অর্জন করতে আমাদের ৫৩ বছর লেগেছে। 


তাত্ত্বিকভাবে এই সিদ্ধান্ত ভালো হলেও দলীয় মনোনয়নের বর্তমান ধারা অক্ষুণ্ন থাকলে এর সুফল তেমন পাওয়া যাবে না। এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় কমিটি থেকে আসা তালিকাকে বাধ্যতামূলক করেছিল। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার সেটা তুলে নেয়। তবে স্থানীয় কমিটিও যে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, তা–ও নয়। একটি উদাহরণ দিই। বিগত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম পাঠায়নি। ওই কমিটি ছিল শামীম ওসমানের নিয়ন্ত্রণে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও