এবার ভারতীয় মিডিয়ার আক্রমণের টার্গেট তারেক রহমান

যুগান্তর মোবায়েদুর রহমান প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৫, ১২:৩৮

গত ১৩ জুন শুক্রবার লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক বৈঠকের চূড়ান্ত সাফল্যের পর আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের সম্ভাবনা একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। একদিকে হতাশা এবং অন্যদিকে আতঙ্কের ফলে ভারতে শেল্টার নেওয়া আওয়ামী লীগ এবং তার মেন্টর ভারত দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। ওইদিকে তাদের মধ্যেই একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে, (বাংলাদেশের কেউ এ খবর ছড়ায়নি) গত ১৬ জুন থেকে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের রাঘববোয়ালদের বিচার শুরু হচ্ছে। সুতরাং, এ বিচার বানচাল এবং ইউনূস-তারেক সৌহার্দকে বিনষ্ট করার জন্য ভারতের অঙ্গুলি হেলনে এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।


এ কর্মসূচির অংশ হিসাবে গত ১৬ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা আইসিটির কাছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা একটি ক্রুড বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, ক্রুড বোমা হলো সেই ধরনের বোমা, যেটি টাইম বোমা হতে পারে অথবা রিমোট কন্ট্রোল পরিচালিত বোমা হতে পারে। শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, বিস্ফোরণটি ঘটেছিল অতি প্রত্যুষে ৫টা ২৫ মিনিটে। বিস্ফোরিত বোমাটির পাশে একই ধরনের আরেকটি বোমা ছিল। সম্ভবত কোনো টেকনিক্যাল কারণে সেটি বিস্ফোরিত হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মেডিকেল সেন্টারের কাছে আরও সাতটি তাজা বোমা পাওয়া যায়। সেগুলো সংশ্লিষ্ট বোমা বিশেষজ্ঞরা অকার্যকর করে দেয়। গত ১ জুন, যেদিন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং যেটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, সেই দিন ট্রাইব্যুনালের সামনে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।



একই দিন অর্থাৎ ১৬ জুন অতি প্রত্যুষে, আনুমানিক সূর্যোদয়ের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ব্যানারে ১৫ থেকে ১৮ যুবক একটি ঝটিকা মিছিল করে। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক, একই দিন অর্থাৎ সোমবার ১৬ জুন ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলসংলগ্ন পরীবাগ এলাকায় ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় যুবক একটি ঝটিকা মিছিল করে। মিছিল শেষে কাঁটাবন রোডে তারা দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণ ঘটিয়েই তারা পালিয়ে যায়। পালানোর সময় সন্ত্রাসীদের একজন পুলিশের হাতে আটক হয়। একই দিন সকাল ৬টার দিকে মোতাহার হোসেন ভবনের সামনে গাছের তলায় ছয়টি ককটেল দেখতে পান নিরাপত্তা কর্মীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল টিম এবং শাহবাগ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ককটেলগুলো উদ্ধার করে। ১৭ জুন একটি বাংলা জাতীয় দৈনিকে এ মর্মে রিপোর্ট করা হয়, হাইকোর্ট এলাকাতেও নাকি ওইদিন সকালে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল এবং বোমা ছুড়ে মারার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর গত ১৮ জুন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


এখানে কয়েকটি তথ্য পাঠকদের জানিয়ে রাখা দরকার। যেহেতু আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তাই তাদের কার্যক্রম বাংলাদেশের প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় না। কিন্তু আওয়ামী লীগের তো দরকার পাবলিসিটি, হিউজ পাবলিসিটি। তিলকে তাল করার মতো পাবলিসিটি। আওয়ামী লীগের পক্ষে এ কাজটি অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সঙ্গে করছে ভারতীয় অসংখ্য গণমাধ্যম। কয়েক মাস আগে ভারতীয় গণমাধ্যমের মধ্যে রিপাবলিক টিভি নিয়ে বাংলাদেশে কিছু আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশবিষয়ক সংবাদ পাঠ এবং সংবাদ পর্যালোচনায় ময়ূখ চৌধুরী নামক এমন এক ভাঁড়কে আনা হয়, যে কিনা গোপাল ভাঁড়কেও হার মানায়। তার এসব ছ্যাবলামো দেখে বাংলাদেশে ক্ষুদ্র হলেও একশ্রেণির দর্শক রিপাবলিক টিভি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও