 
                    
                    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তালা বিএনপিকে ভোগাবে
লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের আলোচনা নিয়ে কার হার হলো আর কার হলো জিত, তা নিয়ে আলোচনা চলছেই। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন এত দিন ইউনূস-ভক্ত, তাঁরা এখন তাঁর সমালোচনায় নেমেছেন। বিএনপি ইউনূসের বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে অনেক হইচই করেছে, এখন তাদের ভূমিকাও পাল্টে গেছে। বিচিত্র সেলুকাস কী আজব আমাদের রাজনীতি, এক দিনেই সব পাল্টে গেল!
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক রায় দিয়েছেন যে লন্ডন বৈঠকে বিএনপির বিজয় হয়েছে। বিষয়টা অন্যভাবেও দেখা যায়। অধ্যাপক ইউনূস চেয়েছিলেন নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে হবে। তিনি দুই মাস নির্বাচন এগিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। তারেক রহমান চাচ্ছিলেন এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন। তিনি ২০২৬ সালে ফেব্রুয়ারি মেনে নিয়েছেন। সুতরাং দুই পক্ষই দুই মাস করে ছাড় দিয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে যাঁরা তাঁর অঙ্গীকারে সন্দিহান ছিলেন এবং নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যাঁরা ষড়যন্ত্র দেখছিলেন, অধ্যাপক ইউনূস তাঁদের থেকে কিছুটা চাপমুক্ত হলেন। এটাকে অধ্যাপক ইউনূসের একটা অর্জন হিসেবে দেখা যায়। অন্যদিকে তারেক রহমানেরও একটা বড় অর্জন আছে। জনগণ এই প্রথমবারের মতো বিএনপির দলীয় ভিডিও স্ক্রিনের বাইরে বৃহত্তর এবং হাই প্রোফাইল মঞ্চে তাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখতে পেল। সবকিছু হিসাব করলে এই বৈঠকে লোকসান কারও হয়নি এবং লাভ দুই পক্ষেরই সমান সমান।
এখন কোনো কোনো রাজনৈতিক দল মনে করছে, বিএনপি ও তারেক রহমানের প্রোফাইল বাড়িয়ে অধ্যাপক ইউনূস তাদের লোকসান করে নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছেন। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল এত দিন নির্বাচনের তারিখ ও সংস্কার নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছিল, তারা বেশ নিরাশ হয়েছে। কারণ, লন্ডনে এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং বিএনপির অনুরোধে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে এনে, অধ্যাপক ইউনূস বিএনপিকে বেশ উজ্জীবিত করেছেন। বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এটা একটা ‘টার্নিং পয়েন্ট’।

অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে সাক্ষাৎ ও সমঝোতার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে হাওয়া লেগেছে। নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করছে দলগুলো।
জামায়াতে ইসলামী ২৯৪ আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে কেউ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে হেফাজতের নেতারা সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নির্বাচন করতে পারবেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো দল গোছানোতে ব্যস্ত। তারা দলকে নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত করার আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে তারা তাদের প্রতীক মুষ্টিবদ্ধ হাত বা শাপলা—এ দুটির একটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। তাদের বড় নেতারা সময় করে তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপি বড় দল। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতে তারাই একমাত্র সংগঠিত জাতীয় দল, যারা আগেও সরকার গঠন করেছিল বেশ কয়েকবার। এটা ধরে নেওয়া যায় যে বিএনপি নেতা তারেক রহমান এককভাবে বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা দেবেন। তিনি দেশে আসার আগে সম্ভবত তা নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন কিছু জানা যাবে না। যদিও ভেতরে ভেতরে কাজ চলছে। তিনি কবে দেশে আসবেন? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, তাঁর দেশে আসতে আইনগত কোনো বাধা নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘শিগগির আসবেন।’
 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                -68f7ebaa39de2-6903ee942e8e5.jpg)