
এসএসসিতে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণ ‘বাল্যবিয়ে’
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই সারাদেশে অনুপস্থিত ছিল প্রায় ২৭ হাজার, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৭ হাজার বেশি। শুধু ঢাকা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল তিন হাজার ৪৯৬ জন। ইংরেজি পরীক্ষার দিনে সেই উপস্থিতি আরও কিছু বেড়ে প্রায় চার হাজারে ঠেকে। আর সব পরীক্ষা মিলিয়ে ঢাকা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল প্রায় সাড়ে ছয় হাজার।
বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুপস্থিতির কারণ খুঁজতে নামে ঢাকা বোর্ড। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ জানাতে বলা হয়। মাঠপর্যায়ের সেই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সবচেয়ে বড় কারণ পরীক্ষার আগে বিয়ে হওয়া।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, মেয়েদের ১৮ বছর ও ছেলেদের ২১ বছরের নিচে বিয়ে হলে সেটিকে বাল্যবিয়ে বলা হয়। অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের সময় যে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া হয়, তাতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর বয়স অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে হয়।
ঢাকা বোর্ড বলছে, পরীক্ষায় অনুপস্থিত প্রতি ১০০ জনের ৪০ জনই বাল্যবিয়ের শিকার। তাদের মধ্যে অনেকে গর্ভধারণও করেছেন। অধিকাংশই জানিয়েছেন, তাদের আর পড়ালেখায় ফেরা হবে না। ফলে ফরম পূরণ করেও এসএসসির আগেই শিক্ষাজীবন থেকে ছিটকে পড়েছেন তারা।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। শুধু হঠাৎ বাড়িতে গিয়ে বিয়ে ঠেকালে হবে না। দীর্ঘমেয়াদে বাল্যবিয়ে রুখতে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।