ভারতের রাজনীতিতে পান থেকে চুন খসলে হইচই শুরু হয়। অথচ রাষ্ট্রীয় সংকটের সময় বিরোধিতা ভুলে সবাই সরকারের পাশে দাঁড়ায়। রাজনৈতিক আচরণের এই বৈপরীত্যই ভারতের পররাষ্ট্রনীতির চিরকালীন বিশেষত্ব। পেহেলগাম–কাণ্ড ও ‘অপারেশন সিদুঁর’ নাম দিয়ে পাকিস্তানে হামলার পর দেড় মাস সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেও এখন আবার শুরু হয়েছে সরকারবিরোধীদের পারস্পরিক সমালোচনা ও আকচা-আকচি পর্ব। বিরোধিতা শুরু হয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘ইসরায়েল নীতি’ নিয়ে।
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস তীব্র সমালোচনা করেছে ভারতের এই ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতির। গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা করে গত শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যে প্রস্তাব পাস হয়, ভারত সেই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। স্পেনের আনা ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৯টি দেশ, বিপক্ষে ১২টি। যে ১৯টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে, ভারত তাদের অন্যতম।