You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নেতানিয়াহু কেন ইরানে আক্রমণের ‘ঝুঁকি’ নিলেন

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার যেদিন অল্পের জন্য ভেঙে পড়া থেকে রক্ষা পেল, সেদিনই তাঁর নেতৃত্বে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো নিশানা করে নজিরবিহীন সামরিক হামলা চালাল।

ওই দিন ইসরায়েলি পার্লামেন্টে একটি বিতর্ক চলছিল। কট্টর ধর্মাচারী ইহুদি (আলট্রা-অর্থোডক্স) নাগরিকদের জন্যও সামরিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে কি না, সেটিই ছিল বিতর্কের বিষয়। এই বিতর্কে সরকার সংকটে পড়ে গিয়েছিল।

এই সময়েই ইসরায়েল একাধিক হামলা চালায়। ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীরা ছিল হামলার লক্ষ্য।

এর ধারাবাহিকতায় আজকের সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়েছে। নেতানিয়াহু এর নাম দিয়েছেন ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ বা ‘জাগ্রত সিংহ অভিযান’। তিনি নামটি বেছে নিয়েছেন ওল্ড টেস্টামেন্টের একটি শ্লোক থেকে, যেখানে ‘নবী’ বালাম বলেন, ‘ইসরায়েল হলো এমন এক সিংহ, যে বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেয় না।’

এই ধর্মীয় শব্দবন্ধের ব্যবহার কোনো কাকতাল নয়। ইসরায়েলের রাজনীতিকেরা বহুদিন ধরেই যুদ্ধকে একধরনের পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে উপস্থাপন করতে ধর্মীয় ও ভাবগম্ভীর শব্দ ব্যবহার করে আসছেন। নেতানিয়াহুও এর মধ্য দিয়ে কেবল সহিংসতাকে বৈধতা দিচ্ছেন না; বরং সেটিকে ‘ঈশ্বরের উদ্দেশ্য’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন।

কিন্তু এই যুদ্ধ শুরু হলো এমন এক সময়ে, যখন ইসরায়েল ভেতরে ও বাইরে নানা চাপের মুখে পড়েছে। সেনাবাহিনীতে লোকবলের অভাব দেখা দিয়েছে।

কারণ, সাধারণ ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিকদের ওপর যুদ্ধের পুরো বোঝা চাপছে, অথচ আলট্রা-অর্থোডক্স ইহুদিরা এর দায় নিচ্ছেন না। এ নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

অন্যদিকে হামাসের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় বা ইসরায়েলি বন্দীদের ছাড়িয়ে আনার আলোচনা থমকে আছে।

আর এখন ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছে গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধ করা বা ইসরায়েলি বন্দীদের উদ্ধারের চেষ্টা পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।

ইসরায়েল এখন আন্তর্জাতিকভাবে ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

তবু ইসরায়েল সর্বাত্মক যুদ্ধের পথে এগিয়ে গেছে। নেতানিয়াহু ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছেন এই বিশ্বাসে যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এটিকে ইসরায়েলের সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন