
সাপ্লাই কোম্পানির ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব প্রবাসী শ্রমিকরা
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সাপ্লাই কোম্পানির ফাঁদ থেকে বের হতে পারছেন না প্রবাসী শ্রমিকরা। অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে মধ্যপ্রাচ্যে গেলেও পাচ্ছেন না প্রতিশ্রুত কাজ। কাজ পেলেও ঠিকমতো বেতন বা মজুরি পান না। নিম্নমানের বাসস্থান থেকে কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে কাজ করতে হয় তাদের। ইকামা (বসবাসের অনুমতি) নবায়ন করতে না পেরে পাসপোর্ট জব্দের মতো ঘটনাও ঘটছে। নানান ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে স্বপ্নের প্রবাস দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দিচ্ছে।
সাপ্লাই ভিসা কী?
সাপ্লাই ভিসা হলো এমন একটি ভিসা যা কোনো ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির কাজ করার জন্য ইস্যু করা হয় না, বরং একজন মধ্যস্থতাকারী কোম্পানির মাধ্যমে অন্য কোম্পানিতে কাজ করার জন্য ইস্যু করা হয়। এই ধরনের ভিসায় মধ্যস্থতাকারী কোম্পানিকে ‘সাপ্লাই কোম্পানি’ বলা হয়। তারা প্রবাসী শ্রমিকদের তাদের গ্রাহক কোম্পানিতে কাজ করার জন্য সরবরাহ করে।
সাপ্লাই ভিসার কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো: প্রবাসী শ্রমিকের ভিসায় সাপ্লাই কোম্পানির নাম উল্লেখ থাকে, কিন্তু গ্রাহক কোম্পানির নাম উল্লেখ থাকে না। ভিসায় কাজের ধরন ও বেতন উল্লেখ থাকে না। থাকার ও কাজের অনুমতি একই কোম্পানি থেকে ইস্যু করা হয় না।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ভিসা বিক্রির সময় সাপ্লাই কোম্পানির কথা উল্লেখ থাকে না। নির্দিষ্ট কোম্পানি কিংবা চাহিদা অনুযায়ী কাজের প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিদেশ গেলে সেখানে প্রতিশ্রুত কাজ পাওয়া যায় না। কোম্পানির ইচ্ছা অনুযায়ী সাধ্যের বাইরে কঠোর পরিশ্রমের কাজ করতে হয়। কাজ করলেও নেই বেতন। মাসের মধ্যে দুই থেকে তিনবার কাজ পরিবর্তন করতে হয়। ঠিকমতো হয় না ইকামা। ফলে অবৈধ হচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক।