লন্ডনে ইউনূস-তারেকের আলোচনায় বিএনপিরই কি জিত

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৫, ২০:৩৯

কী বলা যেতে পারে এটাকে? উইন উইন পরিস্থিতি? দুই পক্ষেরই কিছুটা ছাড়? না আগের ভুলের সংশোধন?


বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বের মধ্যে নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে আসছিল। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বশেষ বৈঠকেও দু–একটি ছাড়া সবাই ডিসেম্বর–জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছিল।


কিন্তু ঈদুল আজহার আগে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বললেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন নির্বাচন হবে।


নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যেও বিভক্তি ছিল বলে জানা যায়। এক পক্ষ চাইছিল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করাই শ্রেয় হবে। অন্য পক্ষের অভিমত ছিল, রাজনৈতিক দলের দাবি যা–ই হোক না কেন, এপ্রিলের আগে নির্বাচন করা ঠিক হবে না। সে সময়ে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিতীয় পক্ষের কথা মেনে নিলেন।


কিন্তু সেই ঘোষণা সমস্যার সমাধান না করে আরও জটিল করে তুলল। বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। রাজনৈতিক অঙ্গনে ডিসেম্বর–এপ্রিলের দ্বৈরথ চলতে থাকে। এ অবস্থায় সরকার একটি সম্মানজনক আপসরফা চেয়েছিল, যার প্রতিফলন ঘটল লন্ডন বৈঠকে।


প্রশ্ন হচ্ছে, এপ্রিলের ঘোষণায় যারা সম্মতি জানিয়েছিল, তারা কি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে একমত হবেন কী না?


যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মনে করেন, ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।



প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।’


বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার আগ্রহেই এই বৈঠক হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। খালেদা জিয়া বলেছেন, তারেক রহমানই এখন দল চালাচ্ছেন, রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললেই ভালো হয়।


বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকার—উভয়ের শুভানুধ্যায়ীরাও চেয়েছিলেন বৈঠকটি হোক। বৈঠকের আগের দিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিক, তিনি যেকোনো সময় বাংলাদেশে আসতে পারেন। গত ১০ মাসে তাঁর দেশে ফেরা নিয়ে কোনো উপদেস্টা প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।


সবচেয়ে ভালো হতো যদি লন্ডন বৈঠক ছাড়াই জট খোলা যেত। কিন্তু সেটা যায়নি। বাংলাদেশে স্বাভাবিক ও সহজ পথে কিছু হয় না। অনেকেই প্রশ্ন করবেন, যে সিদ্ধান্তের জন্য সরকারপ্রধানকে লন্ডন যেতে হলো, সেই সিদ্ধান্ত ঢাকায় নেওয়া গেল না কেন? যৌক্তিক প্রশ্ন।


যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটা) বৈঠকটি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটা) বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও