
এবতেদায়ী মাদ্রাসার এমপিওভুক্তি কতদূর?
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। সেই ঘোষণার পাঁচ মাস বাদেও জাতীয়করণের আগের ধাপ- এমপিওভুক্তিই শুরু হয়নি।
আশ্বাস বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বছরের পর বছর নামমাত্র সম্মানীতে পাঠদান করে আসা শিক্ষকরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর এমপিওভুক্তি প্রক্রিয়া অনেকটাই গুছিয়ে আনা হয়েছে। এমপিও নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হয়েছে। এমপিওভুক্তির জন্য ইতোমধ্যে মাদ্রাসার তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুদানভুক্ত ১৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা তিন হাজার টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন। এই যৎসামান্য অর্থ আবার ছাড় হয় তিন মাস অন্তর।
এর বাইরে দেশে আরও ৫ হাজার ৯৩২টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলো সরকারি কোনো অনুদান পায় না।
ইসলামি ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে যে শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে, সেই আলিয়া মাদ্রাসা পদ্ধতিতে পঠন-পাঠন হয় এবতেদায়ী মাদ্রাসায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমমান এই ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গোড়াপত্তন হয় ১৯৮৪ সালে। এরপর চার দশক কেটে গেলেও শিক্ষকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।