
সারা দিন খেটে কাঁচা চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ‘মাথায় হাত’
দাম বৃদ্ধির সরকারি ঘোষণা মাথায় রেখে এবার কোরবানির গরুর ২৪০টি চামড়া কেনেন ঢাকার কোণাপাড়ার রুবেল। কিন্তু পোস্তায় আড়তদারদের দাম শুনে হতভম্ব এই মৌসুমি ব্যবসায়ী।
রুবেল শনিবার রাত ৮টার দিকে পোস্তায় বলছিলেন, “গতবছরের চেয়ে বাড়িয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু গতবার যেই চামড়া ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার তার দাম আড়তদাররা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা দিতে চাচ্ছেন। মনে হচ্ছে সিন্ডিকেটের হাতে পড়ে গেছি।”
পরে রাত সাড়ে ১১টায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বড় গরুর ফ্রেশ চামড়া ৭০০ টাকা করে বেচছি। আর অল্প ফুটো বা টিউমার আক্রান্ত গরুর চামড়া ১৪০ টাকা দর পেয়েছি।
“ধারণা করছি, ২৪০ চামড়ায় পরিবহন ও লেবার খরচসহ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লোকসান হল। কষ্টে টাকার হিসাবও করিনি।”
বাংলাদেশে সারা বছর যে সংখ্যক পশু জবাই হয়, তার মোটামুটি অর্ধেক হয় এই কোরবানির মৌসুমে। কোরবানি যারা দেন, তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন পাইকারদের কাছে।
পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে। ট্যানারি কেমন দামে চামড়া কিনবে, তা প্রতিবছর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- কাঁচা চামড়া