
স্মৃতির ঘ্রাণে বিএনপি নেতাদের ছোটবেলার ঈদ
ঈদ আজও বাঙালি মুসলমান জীবনের অন্যতম বড় উৎসব। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে উদযাপনের ধরণ। স্মার্টফোন-সেলফির এই যুগে ঈদের আবহ একরকম হলেও ষাটোর্ধ্ব প্রজন্মের কাছে ছোটবেলার ঈদ মানে ছিল অন্য কিছু—পারিবারিকতা, সামাজিকতা আর একরকম সরল আনন্দ, যা এখন অনেকটাই ‘নস্টালজিয়া’।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শৈশবের ঈদের কথা জানতে চাইলে দাউদকান্দির বাড়ির ঈদের স্মৃতি টেনে আনেন তিনি। বলেন, ‘স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পর্যন্ত ঈদ করেছি গ্রামে। নতুন জামার অপেক্ষা ছিল সবচেয়ে বড় আনন্দ। বাবা-মা নিজের সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করতেন সন্তানের জন্য নতুন জামা কিনে দিতে।’
ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য গরু কেনা ও দেখার রীতিকে সামাজিক উৎসবের মতো মনে করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের রাতে গ্রামের সবাই দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু দেখতাম। বেশিরভাগই ঈদের আগের দিন গরু কিনতেন। গরু কেনার মধ্যেও ছিল এক ধরনের সামাজিক প্রতিযোগিতা ও আনন্দ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জন্ম চট্টগ্রামে। তাদের বাড়িতে ঈদ ছিল বড় পরিসরের পারিবারিক সমাবেশের মতো।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের যৌথ পরিবার ছিল। ঈদের দিন সকালে সবাই আমাদের বাড়িতে এসে ফজরের নামাজ পড়ে নাস্তা করতেন কিমা আর পরোটার সঙ্গে। নতুন জুতো, অফুরন্ত বেড়ানো—এইসব নিয়েই ঈদ হতো। ঈদ শেষ হলে মনে হতো যেন দুনিয়া শেষ হয়ে গেছে, একটা শূন্যতা।’