রেমিট্যান্সের এ উল্লম্ফনের মধ্যেই শুরু হয়েছে টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি। দীর্ঘ এ বন্ধের কারণে ব্যাংক খাতে অর্থ পাঠাতে না পেরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা অবৈধ হুন্ডিকে বেছে নিতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। থমকে যেতে পারে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহের উল্লম্ফন। হোঁচট খেতে পারে প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান তথা গত বছরের ৫ আগস্ট থেকেই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে চলছে বড় প্রবৃদ্ধি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে এসেছে ২ হাজার ৭৫১ কোটি বা ২৭ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয়। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে ১১ মাসে প্রবাসীরা ৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার বেশি পাঠিয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
রেমিট্যান্সের বড় প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত ছিল গত মে মাসেও। প্রবাসী বাংলাদেশীরা গত মাসে ২৯৭ কোটি বা ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। ২০২৪ সালের মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে গত মাসে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ। মে মাসের পর চলতি জুনের প্রথম তিনদিনেই ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। গত বছরের জুনের প্রথম তিনদিনে যেখানে এসেছিল মাত্র ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এ তিনদিনে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ১১১ শতাংশেরও বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।