You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ঈদের আনন্দ কবে সবার হবে

ঈদ—এই শব্দটির সঙ্গে অগণিত মানুষের হৃদয়ে যে অনুভব জাগে, তা আনন্দ, উৎসব আর মিলনের। ঘরে ঘরে নতুন জামা, সুস্বাদু খাবার, কোলাকুলি আর রঙিন খুশির চিত্র যেন ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে সেই পরিচিত দৃশ্যের বাইরে যে একটা বড় প্রশ্ন থেকে যায়, তা হলো—ঈদ কি সবার জন্য একরকম? ঈদের দিন কি সকলের মুখেই সমান হাসি? ঈদের আনন্দ কি সত্যিই সমবণ্টিত?

শহরের চকচকে ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে গ্রামের মাটির ঘর, গুলশান-বনানীর গরুর হাট থেকে শুরু করে কামারপাড়ার খোলা মাঠ—সবখানেই ঈদ আসে, তবে তার প্রকাশ, অনুভব আর গ্রহণ একরকম থাকে না।

ঈদুল আজহা কেবল আনন্দ নয়, এটি আত্মত্যাগের এক প্রতীক। হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মহান আল্লাহর আদেশে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হন, তখন তা ছিল সম্পূর্ণ আত্মসর্ম্পণ ও আনুগত্যের নিদর্শন। কিন্তু সময় বদলেছে। কোরবানি এখন আর শুধু আত্মত্যাগ নয়, অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়ে উঠেছে একধরনের প্রতিযোগিতা।

বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এখন কোরবানির পশু যেন সামাজিক মর্যাদার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম লাইভে বড় গরুর দাম ঘোষিত হয়, ভিডিওতে’ দেখুন আমাদের গরু’ বলে মানুষ শেয়ার করে। গরুর গায়ে ঝিলমিল রঙের ফিতা, গলায় মালা—এসব কোনো ধর্মীয় আবশ্যিকতা নয়, বরং এটি একরকম সাংস্কৃতিক প্রদর্শন, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যকেই সামনে আনে।

এই বিপরীতে, গ্রামে অনেকেই ঈদের আগে প্রার্থনা করে, ‘আল্লাহ, এবার একটা ছাগল হলেও যেন কোরবানি দিতে পারি।’ অনেকে মিলেমিশে শেয়ার করে একটি ছোট গরু কেনেন। কেউ কেউ কোরবানি দিতে না পেরে ঈদের দিনই চোখ এড়িয়ে থাকে, যেন কোনো লজ্জা না পেয়ে যায়।

কেন যেন আমাদের ঈদের ছবি সব সময়ই মধ্যবিত্ত-ধনীদের ঘিরে। কিন্তু যারা গার্মেন্টস শ্রমিক, যারা রিকশাওয়ালা, যারা ঈদের দিনেও রাস্তায় থাকে তাদের কথা খুব কমই উঠে আসে। মাসজুড়ে ওভারটাইম করে গার্মেন্টস শ্রমিকেরা বেতন-বোনাসের আশায় থাকে। কিন্তু সময়মতো বেতন না পেয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারে না। ঈদের দিন কাজের জায়গায়ই কেটে যায়।

ছিন্নমূল শিশুদের ঈদ কি আদৌ হয়? ঈদের সকালে যখন একটি মধ্যবিত্ত শিশুকে নতুন জামায় ঈদগাহে দেখা যায়, তখনই দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি শিশু হয়তো তাকিয়ে থাকে সেই পোশাকের ঝলকে। তার ঈদ মানে হয়তো গতকালের তুলনায় একটু ভালো খাবার, যদি কোনো এনজিও বা ভ্রাম্যমাণ রান্নাঘর কিছু বিতরণ করে।

অন্যদিকে, বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবা-মায়ের ঈদ কাটে হয়তো সন্তানদের অপেক্ষায়। একসময় যারা সন্তানদের জন্য ঘরভর্তি কোরবানির আয়োজন করত, তারা আজ নিজেরাই অপ্রাসঙ্গিক। যারা প্রবাসে আছেন, তাদের ঈদ মানে স্মার্টফোনে ভিডিও কল, কিংবা নীরব একাকীত্ব।

ঈদ একটি ধর্মীয় উৎসব হলেও এর সামাজিক পরিধি বহুমাত্রিক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই পরিধি একেক শ্রেণীর কাছে একেকভাবে ধরা দেয়। বিত্তশালীদের কাছে ঈদ মানে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন, বিলাসিতা আর স্ট্যাটাস প্রতিফলন। মধ্যবিত্তের ঈদ মানে সীমিত সাধ্যে ‘ভদ্রোচিত আনন্দ’। তারা পাঞ্জাবি কিনেই সন্তুষ্ট, কিন্তু দামি গরুর দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন