
হাড়ের ঝোলের এত উপকার!
আমাদের মা-দাদিরা প্রায়ই মুরগি বা গরুর হাড় দিয়ে তৈরি করেন স্বাদে ভরপুর ঝোল। যেটা আমরা সাধারণত ‘শুরুয়া’ বলি। এখনকার গবেষণা বলছে, এই হাড়ের ঝোল আমাদের জয়েন্টের শক্তি বাড়ায়, ত্বক টান টান রাখে আর হজমও ভালো করে।
সাধারণত গরু, খাসি, মুরগির হাড় ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অল্প আঁচে ফুটিয়ে তৈরি হয় এই ঝোল। এতে ধীরে ধীরে হাড় থেকে বেরিয়ে আসে কোলাজেন, খনিজ পদার্থ, অ্যামিনো অ্যাসিড ও নানান ভিটামিন। পশ্চিমা দুনিয়ায় এখন একে বলছে ‘লিকুইড গোল্ড’ বা তরল সোনা। দাবি করা হচ্ছে, এটি খেলে শরীরের প্রদাহ কমে, হজম ভালো হয়, ত্বক হয় টান টান আর হাড়ের জয়েন্ট থাকে সুস্থ।
হাড়ের ঝোলে যা থাকে
কোলাজেন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্ট, ত্বক ও হাড় দুর্বল হয়। কোলাজেন সঠিক মাত্রা এসবের স্থায়িত্ব বাড়ায়।
অ্যামিনো অ্যাসিড: পেশি গঠন ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন: হাড় মজবুত করে, রক্তস্বল্পতা দূর করে।
প্রোটিন: শরীরের গঠন ও শক্তির জন্য অপরিহার্য।
এ ছাড়া এতে ক্যালরি কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এটি হতে পারে ভালো বিকল্প।