আমাদের উৎসবগুলোতে খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উৎসবে খাবার পরিবেশনের জায়গায় এ কারণেই প্রাধান্য পাক কিছু বাড়তি অনুষঙ্গ। আপনার এই বাড়তি মনোযোগ খাবার টেবিলে বসা অতিথিদের মনে করিয়ে দেবে যে তাঁরা বিশেষ।
ঈদের দিন নানাভাবে খাবার টেবিলে ভিন্নতা আনতে পারেন। রাখতে পারেন ফুল, নকশা তোলা কাপড়ের ন্যাপকিন কিংবা টিস্যু পেপার, ছুরি-কাঁটাচামচ, মোমবাতি ইত্যাদি। আপনার টেবিলের জায়গা অনুযায়ীই আয়োজন করতে হবে। বেছে নিতে হবে পরিবেশনের পাত্র ও আনুষঙ্গিক জিনিস।
সকাল ও রাত অনুযায়ী বেছে নিন টেবিলম্যাট আর রানার। টেবিলম্যাট জমকালো হলে পরিবেশনপাত্রে থাকুক হালকা নকশা। নির্দিষ্ট কোনো থিমে সাজাতে চান কি না, সেটিও ভেবে দেখুন। তাহলে সবকিছুর মধ্যেই সেটির রেশ থাকলে ভালো।
সকালবেলায় টেবিলের ওপর বিছিয়ে দিতে পারেন ধবধবে সাদা ম্যাট। এর ওপর নানা রঙের পরিবেশনপাত্র আর প্লেটের মাধ্যমে সহজে নিয়ে আসতে পারবেন ভিন্নতা। যাঁরা সাদামাটা কিন্তু মার্জিত সাজ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য বেজ, সাদা বা হালকা গোলাপি রঙের টেবিল থিম মানানসই। ছোট ফুলদানি আর হালকা রঙের মোমবাতি রাখতে পারেন। রাতের বেলায় টেবিলে থাকতে পারে মোমবাতি আর গাছের সান্নিধ্য।
টি-লাইট বা ছোট মোমবাতির আলো তৈরি করবে উষ্ণ ও আমন্ত্রণমূলক পরিবেশ। সাদা ক্রোকারিজ বেছে নিলে সঙ্গে রাখতে পারেন সোনালি অনুষঙ্গের ছোঁয়া। দুটি রঙের মাধ্যমে ফুটে উঠবে স্নিগ্ধ কিন্তু অভিজাত পরিবেশ।
স্টোনওয়্যার নিয়ে আসবে মাটির ঘ্রাণ মিশে থাকা পরিবেশ। ন্যাপকিন সুন্দরভাবে ভাঁজ করে রাখতে পারেন। প্রাকৃতিক ফুল টেবিলে এনে দেবে সতেজ ভাব ও ঘ্রাণ। কৃত্রিম ফুলও ব্যবহার করতে পারেন। সতেজ ঘ্রাণের জন্য কৃত্রিম ফুলের ওপর ছড়িয়ে দিতে পারেন পছন্দসই কোনো সুগন্ধি। অনেক দিন ভালো থাকবে।