You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আমাদের যা শিখতে হবে যা ভুলতে হবে

২১ শতকের নিরক্ষর সেই ব্যক্তি নয়, যে পড়তে বা লিখতে পারে না; বরং সেই ব্যক্তি, যে শিখতে, ভুলতে এবং নতুন করে শিখতে অক্ষম।  — অ্যালভিন টফলার অবিরাম পরিবর্তনের যুগ (The Era of Constant Change)। আজকের পৃথিবীতে অনিশ্চয়তা কোনো ব্যতিক্রম নয়, বরং এটি নিয়মে পরিণত হয়েছে এবং সেটাকেই মেনে নিতে হবে।

পৃথিবীজুড়ে মহামারি, প্রযুক্তিগত বিপর্যয়, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তঃদেশীয় যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি—সবকিছুই নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রযুক্তি, শিক্ষা, ব্যবসা, রাজনীতি—সব ক্ষেত্রেই চলছে নতুন করে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার পালা। এখন আর প্রশ্ন হচ্ছে না- পরিবর্তন কবে আসবে? বরং আমরা কত দ্রুত পরিবর্তনে মানিয়ে নিতে পারি সেটাই বিবেচ্য বিষয়।

আমার ছোট উপলব্ধি

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন’ ( Training and Development), ‘প্রতিষ্ঠানগত আচরণ’ (Organizational Behaviour), ‘মানবসম্পদ পরিকল্পনা ও নীতিমালা’( HR Planning and Policies) ইত্যাদি বিষয় পড়ানোর সময় এবং শিল্পখাতে মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতায় আমি প্রতিটি পাঠদানের জন্য পরিকল্পনা করতাম অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিকভাবে—সিলেবাস অনুসারে, স্লাইড প্রস্তুত করে, লক্ষ্য নির্ধারণ করে। আমার সামরিক ও কর্পোরেট পটভূমি আমাকে শিখিয়েছিল যে শৃঙ্খলা ও দক্ষতা থাকলেই শেখার কার্যকারিতা নিশ্চিত হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ের বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

শ্রেণিকক্ষে আমি বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক পটভূমি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের পেয়েছি—কেউ প্রযুক্তিতে দক্ষ, আবার কেউ মৌলিক ধারণাতেই দুর্বল। একইভাবে কর্পোরেট প্রশিক্ষণেও দেখি, অংশগ্রহণকারীদের মানসিকতা, শেখার ধরণ ও প্রেষণা একেক জনের একেক রকম। তখন উপলব্ধি করি যে, কনটেন্ট ডেলিভারি মানেই জ্ঞান অর্জন একথাটি এ যুগে মানানসই নয়। বিশ্বায়ন আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে আমি নতুন করে ‘মানব- কেন্দ্রিক’ শিক্ষা, আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা, প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে ব্যবহারিক প্রয়োগ শিখছি যেখানে নমনীয়তা, সহানুভূতি এবং প্রাসঙ্গিকতা খুবই মুখ্য।

আমি সুদক্ষদের কাছ থেকে ফলাফলভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি (Outcome-Based Education বা OBE) শিখেছি এবং

পরিস্থিতির সাথে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে। যেমন-

অনিশ্চয়তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর একুশ শতকের চরম পরিবর্তনের যুগে শিক্ষার্থীদের কোন বিষয়ে
পড়াশুনা করা (Subject) এবং দক্ষতা বৃদ্ধি(Skill) খুবই জরুরি?

আমার শিক্ষাদান পদ্ধতি কি প্রযুক্তি-নির্ভর, সমসাময়িক, প্রজন্ম বান্ধব এবং তথ্যবহুল?
আমি কি তাদের পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানো (Adaptation situation), সমালোচনামূলক চিন্তা (critical
thinking), জীবনব্যাপী শিক্ষা (lifelong learning) এবং সমস্যা সমাধান পদ্ধতি (problem solving)

শেখার মানসিকতা গড়ে তুলতে পারছি?

হতে পারে সেটা শ্রেণিকক্ষে দলগত কাজের মাধ্যমে শেখানো, কিংবা কর্পোরেট ট্রেনিংয়ে অটোমেশন বা রিমোট ওয়ার্কের চ্যালেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত করে। আমি উপলব্ধি করেছি—শুধু জ্ঞান বিতরণ নয়, বরং খাপ খাওয়ানো পদ্ধতি, সহমর্মিতা, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ, ও স্থিতিস্থাপকতা(Flexibility) গড়ে তোলাই হলো এই সময়ের শেখানোর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন