You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ভারতে নকশালরা কেন বারবার ব্যর্থ হয়

দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের মাঝারি আয়তনের গ্রাম কাডাভেন্ডি দেখতে ভারতের প্রায় সাত লাখ গ্রামের মতোই। কাঁচা-পাকা রাস্তা, কিছু বাড়ির সিমেন্ট ঝরে ইট বেরিয়ে পড়েছে, কিছু বা আবার চুনকাম করা। এই বাড়িগুলোর ফাঁকে ফাঁকে দাঁড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য লাল স্তম্ভ আর এটাই কাডাভেন্ডির সঙ্গে অন্য গ্রামের তফাত।

১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে তেলেঙ্গানায় যখন স্বাধীনতা–উত্তর ভারতের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ হয়, তখন থেকে আজ পর্যন্ত এই গ্রামের ছেলেমেয়েরা বামপন্থী বিপ্লবী আন্দোলনে জড়িয়েছেন; যখন মারা গেছেন, তখন তাঁদের মরদেহ আনা হয়েছে কাডাভেন্ডিতে। ১০-১২ ফুটের লাল শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তার মাথায় কাস্তে-হাতুড়ি লাগিয়েছেন গ্রামের মানুষ। ১৯৪৬-এর আন্দোলনের নেতা ডোড্ডি কোমারাইয়ার স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে গ্রামের মাঝখানে, যেখানে গুলি করা হয়েছিল কোমারাইয়াকে। তাঁর মৃত্যু দিয়ে শুরু হয় প্রথম তেলেঙ্গানা সশস্ত্র বিদ্রোহ।

শেষ মরদেহটি গ্রামে এসে পৌঁছেছে সপ্তাহখানেক আগে। এটি ভারতের নিষিদ্ধ ও সশস্ত্র দল, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মাওবাদী) নেত্রী গুমুডাভেল্লি রেণুকার। মাওবাদীদের ঘাঁটি অঞ্চল ছত্তিশগড়ে রাজ্য কমিটির সদস্য এবং মুখপাত্র ছিলেন ৫৪ বছরের রেণুকা। তিনি মারা গেছেন ৩১ মার্চ। তাঁর স্মৃতিতে রেণুকার পরিবার কাডাভেন্ডিতে বানাচ্ছে স্মৃতিস্তম্ভ, জানালেন রেণুকার ছোট ভাই রাজাশেখর।

গত সপ্তাহে তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদ থেকে টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে রাজাশেখর বলেন, ‘দিদির শহীদবেদি বানানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। উচ্চতা হবে মোটামুটি দুই মিটার, ওপরে থাকবে কাস্তে-হাতুড়ি। স্তম্ভের মাঝখানে, চোখের উচ্চতায় একটা কালো পাথর বসিয়ে তার ওপর নাম খোদাই করে দেব।’

ভারতে প্রায় দেড় বছর ধরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সরকার যে অভিযান চালাচ্ছে, তাতে কয়েক শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রেণুকা ছাড়াও এঁদের মধ্যে একাধিক শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রী রয়েছেন, যাঁদের অন্যতম সিপিআই-মাওবাদীর সর্বোচ্চ নেতা দলের সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশভা রাও। ২১ মে রাওয়ের মৃত্যুর পর ধরে নেওয়া হচ্ছে যে ছত্তিশগড় রাজ্যে মাওবাদীদের শেষের শুরু হয়ে গেছে। সরকার জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ভারতে মাওবাদীদের অস্তিত্ব থাকবে না।

২০০৪ সালে ভারতের দুটি প্রধান সশস্ত্র দল এক হয়ে তৈরি হয়েছিল সিপিআই-মাওবাদী। কিন্তু ভারতে সশস্ত্র মাওবাদী বা নকশালপন্থী আন্দোলনের ইতিহাস দীর্ঘ। ১৯৪৬ সালে প্রথম তেলেঙ্গানা কৃষক বিদ্রোহের দুই দশক পর উনসত্তর সালে পশ্চিমবঙ্গে গঠিত হয় সিপিআই-এমএল। শিলিগুড়ির নকশালবাড়িতে কৃষকদের ওপর গুলি চলার কারণে তাদের আন্দোলনকে ‘নকশাল আন্দোলন’ বলে চিহ্নিত করা হয়।

এরপর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫-এর মধ্যে পরপর দুজন সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যুসহ একাধিক কারণে পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। ভরকেন্দ্র সরে যায় পূর্ব ভারতের বিহারে ও দক্ষিণের অন্ধ্র প্রদেশে। এই সময়ে আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তেলেঙ্গানার বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক এন ভেনুগোপাল। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অন্ধ্র প্রদেশের আন্দোলনের মৌলিক তফাত রয়েছে।

ভেনুগোপাল বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন গণসংগঠন তৈরি করে তাদের নিয়ে এগোনোর ওপর জোর দেওয়া হয়নি। সেখানে জোরটা ছিল ছোট ছোট স্কোয়াড গঠন করে শ্রেণিশত্রুর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর ওপর। কিন্তু অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় জোর দেওয়া হয়েছিল গণসংগঠনের ওপর। গোপন সশস্ত্র সংগঠন ছিল; কিন্তু গণসংগঠনের গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন