দ্রুত অচলাবস্থার নিরসন হোক

প্রথম আলো জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৫, ০৯:৩৪

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সংঘর্ষের জেরে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকার ঘটনাটি কেবল উদ্বেগজনক নয়, আমাদের চিকিৎসাসেবার বেহাল চিত্রও তুলে ধরে। হাসপাতালটির অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 


চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলমের ভাষ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার পরিচালকের কক্ষে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা প্রবেশ করে নিজেদের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পড়েন, একপর্যায়ে হাতাহাতি করেন। এতে হাসপাতালের কর্মীরাও আহত হন। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) থেকেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা এসে যোগ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও স্বীকার করেছে, নিরাপত্তাহীনতার কারণেই সেখানে চিকিৎসক ও কর্মীরা দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ঢাকার বাইরে থেকে গত কয়েক দিনে নতুন করে অনেক রোগী এসে বিপদে পড়েছেন। তাঁরা অপেক্ষায় আছেন, কখন চিকিৎসাসেবা আবার চালু হবে।


সেবাদানকারী ও সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে আস্থার সম্পর্কের ওপরই হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থা টিকে থাকে। সেবাপ্রার্থী কিংবা সেবাদানকারী যেকোনো পক্ষের বা উভয় পক্ষের অনাস্থা থাকলে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তার চাক্ষুষ প্রমাণ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।


শনিবার প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমানের সরকারি বাসভবনে চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। একাধিক উপদেষ্টা, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুজন নেতা, ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেখানে যেসব চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাঁদের হাসপাতালে না পাঠানো এবং বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে ফেরত আসা রোগীদের ফলোআপ চিকিৎসা, বিদেশে আর কোন কোন রোগীকে পাঠানো হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ সহকারী হাসপাতাল পুরোপুরি শুরু হতে একটু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন।


কিন্তু সরকারের জানা উচিত যে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাসেবা তো এক দিনের জন্যও বন্ধ থাকতে পারে না। সেখানে চিকিৎসাসেবারও ঘাটতি ছিল না। আর চিকিৎসাসেবার ঘাটতি থাকলেও কেউ চিকিৎসক ও কর্মীদের ওপর চড়াও হতে পারেন না। এখানে কর্মবিরতি কিংবা ‘বর্জন’ কোনো সমাধান দেবে না।  চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো, জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি, মাসিক ভাতা ও পুনর্বাসন করতে হবে বলে যে দাবি জানানো হয়েছে, সেসব পূরণ করার এখতিয়ার তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নেই। এ বিষয়ে সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।


জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। উন্নত চিকিৎসাসেবার দাবিতে তাঁদের রাস্তা অবরোধ করতে হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বারবার ধরনা দিতে হয়েছে। এটা কোনোভাবে কাম্য ছিল না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও