You have reached your daily news limit

Please log in to continue


পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার কেন ২০ বছর আটকে আছে

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এখন প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিবাদমুখর মানুষকে তাঁদের দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে বা মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। বিষয়টা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে যাওয়ায় অনেকেই গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের কথা শুনছেন না। কারও কারও ধারণা, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই হুট করে এই দাবিদাওয়া তোলা হচ্ছে, আগে এসব ছিল না। যা তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না তা হলো, এ রকম বেশ কিছু দাবির পেছনে রয়েছে দীর্ঘ প্রাতিষ্ঠানিক জড়তা বা ‘লক-ইন’, যার সংস্কার প্রয়োজন। 

প্রাতিষ্ঠানিক ‘লক-ইন’ কী

প্রাতিষ্ঠানিক ‘লক-ইন’ বলতে এমন একটি পরিস্থিতি বোঝায়, যেখানে প্রতিষ্ঠান বা পুরো সেক্টরের মধ্যে কায়েমি–ব্যবস্থা, প্রচলিত রীতিনীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক চর্চা এত গভীরভাবে প্রোথিত হয়ে পড়ে, যা দরকারি পরিবর্তন বা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করে। ১৯৯৩ সালে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী ডগলাস নর্থ দেখিয়েছিলেন, প্রাতিষ্ঠানের সঙ্গে উন্নয়নের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই নব্বইয়ের দশক থেকে সারা বিশ্বে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারকে নীতিনির্ধারকেরা আগের চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখা শুরু করেন।

পল্লী বিদ্যুতের ‘লক-ইন’

সাধারণ চোখে দেখলে মনে হবে, সাম্প্রতিক অনেক আন্দোলনের দাবিগুলো নেহাতই কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে হচ্ছে। কিন্তু ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে, এর পেছনে দীর্ঘ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ইতিহাস রয়েছে। এমন একটি উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ খাত।

ন্যাশনাল রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন কো–অপারেশন অ্যাসোসিয়েশনের (এনআরইসিএ) কারিগরি ও ইউএসএআইডির আর্থিক সহায়তায় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি/আরইবি) প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে আরইবির অধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পিবিএস) বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকার ১৪ কোটি গ্রাহককে সেবা প্রদান করে আসছে।

বাংলাদেশের মোট সরবরাহ করা বিদ্যুতের ৫৭ শতাংশ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ। পল্লী বিদ্যুৎ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, বিশেষ করে শিল্প, কৃষিসহ অন্যান্য সেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে ২০ বছর ধরে সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে, অথচ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। এভাবে প্রাতিষ্ঠানিক জড়তার (লক-ইন) একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পল্লী বিদ্যুতের সংস্কারের প্রশ্নটি।

পল্লী বিদ্যুতের দ্বৈত ব্যবস্থার সংকট

২০২০ সালে আরইবিতে বিদ্যুৎ–বিভ্রাটসংক্রান্ত একটি কর্মশালার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উৎপাদনঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও শুধু পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় নিম্নমানের মালামালের কারণে শতকরা ৬৮% বিদ্যুৎ–বিভ্রাট ঘটে। আরইবি আবহাওয়া বা ভৌগোলিক অবস্থার কথা বিবেচনা না করে একই ‘ডিজাইন ক্রাইটেরিয়া’ ব্যবহার করে সারা দেশে বিতরণব্যবস্থা সম্প্রসারণ করেছে।

পঞ্চগড় ও বরিশালের বিতরণ লাইনের খুঁটির গভীরতা একই হওয়া উচিত কি না, সংস্থাটি তা বিবেচনায় নেয়নি। স্বাভাবিক কাণ্ডজ্ঞান থেকে বোঝা যায়, লবণাক্ত এলাকা ও স্বাভাবিক এলাকার গ্রাউন্ডিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে আলাদা গ্রেডের মালামাল ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু আরইবি সারা দেশে একই ‘ডিজাইন ক্রাইটেরিয়া’ ব্যবহার করায় অবকাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোকে মালামাল কিনতে হয় আরইবি থেকে। নীতি প্রণয়নসহ সমিতির জনবলের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, বেতন-ভাতা, তদন্ত-শাস্তি—এ সবই আরইবির সিদ্ধান্তক্রমে বাস্তবায়িত হয়। যে আরইবি এই সিস্টেমের নীতিনির্ধারণ, মালামাল সরবরাহ, গুণগত মান যাচাইসহ সবকিছু করে, তাদের জবাবদিহির জন্য পাওয়া যায় না। অথচ কোনো দুর্ঘটনা বা ত্রুটি হলে আরইবিই আবার তদন্ত করে। তখন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই শাস্তি হয়। এরপরও আরইবির দেওয়া ত্রুটিপূর্ণ ডিজাইন বা মালামাল সরবরাহ বন্ধ হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন