বাজেটে বিলাসপণ্যে বাড়তি কর, ওষুধে ব্যাপক ছাড়

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৫, ১২:৪৩

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শুল্ককাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্প, চামড়া, যানবাহন, কাগজ, পরিবেশবান্ধব পণ্যসহ মোট ২০টির বেশি খাত ও উপখাতে শুল্কহারে পরিবর্তন এবং নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ এসেছে। বাজেটে বড় ধরনের ছাড় থাকছে ওষুধ খাতে। এতে চিকিৎসা ব্যয়ে মিলবে স্বস্তি। এ ছাড়া চিনি, যানবাহন, পরিবেশবান্ধব পণ্যে কমছে শুল্ক। তবে বিপরীতে খেলনা, প্রসাধনীর মতো পণ্যে বাড়ছে শুল্ক।


বাজেটে জনবান্ধব শুল্ককাঠামো থাকছে বলে দাবি করছেন বাজেট প্রণয়নে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ব্যবসা, বিনিয়োগ ও জনস্বার্থ বিবেচনায় হচ্ছে এবারের বাজেট। বাজেটে যেমন রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প, পরিবেশবান্ধব খাতসহ উৎপাদন খাতকে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টাও থাকছে। প্রস্তাবিত পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্যসহ বেশ কিছু খাতে স্বস্তি মিলবে।


শুল্ক ব্যবস্থাপনার এসব পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারকে কর আদায় করতেই হবে। সব জিনিসের ওপর থেকে তো আর তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমার কাছে এগুলো যৌক্তিক মনে হচ্ছে। কারণ, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক সহজ করা হয়েছে। বিপরীতে প্লাস্টিক ও বিলাসপণ্যে বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যে ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’


শুল্ককাঠামোর রূপান্তর


দেশে প্রচলিত ৬টি স্তরের পরিবর্তে ৭টি শুল্ক স্তর করা হচ্ছে আগামী বাজেটে। শুল্ক স্তরগুলো হলো ০, ১, ৩, ৫, ১০, ১৫ এবং ২৫ শতাংশ। সম্পূরক শুল্ক (এসডি) স্তর ১২টি থেকে ১৩টি করা হচ্ছে। এগুলো হলো ১০, ২০, ৩০, ৪০, ৪৫, ৬০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০, ৩০০, ৩৫০ এবং ৫০০ শতাংশ। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ নতুন সংযোজন। এ ছাড়া আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কহারের সব পণ্যে রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) ৩ শতাংশ বহাল রাখা হচ্ছে। তবে রেয়াতি সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এসডি প্রত্যাহার করা হতে পারে।


এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সুপারিশ অনুযায়ী শুল্কহার পুনর্বিন্যাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতের ৭৯টি নতুন পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৩টি ক্যানসারের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, ৩৬টি দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওষুধের কাঁচামাল এবং ২০ ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। হাসপাতালে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিতে বিদ্যমান ১০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (সিডি) মওকুফ করা হচ্ছে।


এ ছাড়া টোল ফর্মুলেশন সুবিধার (টিএফএফ) বাইরে আমদানি হওয়া ওষুধের কাঁচামালের শুল্কহার ৫ থেকে ২৫ শতাংশ ছিল। এখন থেকে টিএফএফ প্রক্রিয়ায় আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ১ শতাংশ হবে। ডায়ালাইসিস, ইনজেকশন, ইনফিউশন ইত্যাদি ব্যবস্থায় ব্যবহৃত মেডিকেল প্লাস্টিক টিউব বা অংশের জন্য ব্যবহৃত পণ্যের ২৫ শতাংশের পরিবর্তে শুল্ক ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কানেক্টর, কাপলার, অ্যাডাপ্টর, সিলিন্ডার সংযোগ অংশের থার্মোপ্লাস্টিক ম্যাটারিয়ালে বন্ড সুবিধায় ব্যবহৃত কাঁচামালের সিডি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও