গ্যাস সরবরাহ সংকট কাটছেই না

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৫, ০৮:৩১

দেশে গ্যাসের উৎপাদন নিয়মিত কমছে। ঘাটতি মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়েও পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না। চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ তেমন বাড়ছে না। ফলে গ্যাস সরবরাহের সংকট কাটছেই না। বসিয়ে রাখতে হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা। গ্যাস না পেয়ে বিতরণ সংস্থাগুলোতে নিয়মিত অভিযোগ করছেন আবাসিক ও শিল্প খাতের গ্রাহকেরা।


বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, বর্তমানে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ পেলে রেশনিং করে (এক খাতে কমিয়ে, আরেক খাতে বাড়ানো) পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। দিনে এখন সরবরাহ হচ্ছে গড়ে ২৭০ কোটি ঘনফুট। বিদ্যুৎ খাতে কমিয়ে সম্প্রতি শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।


দেশে একসময় দিনে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হতো। ২০১৮ সালে উৎপাদন কমতে থাকলে এলএনজি আমদানি শুরু হয়। উৎপাদন কমে এখন ১৮৫ কোটি ঘনফুটে নেমে এসেছে। মূলত এলএনজি আমদানির ওপর সরবরাহ বাড়া-কমা নির্ভর করে। আমদানি করা এলএনজি থেকে ১০৫ কোটি ঘনফুট সরবরাহের পরিকল্পনা পেট্রোবাংলার। ২৫ মে একটি এলএনজি কার্গো জাহাজ আসার কথা ছিল। জাহাজটি ২৮ মে এলেও আবহাওয়ার কারণে এলএনজি খালাসে সময় লাগছে। গত মঙ্গলবার এলএনজি থেকে সরবরাহ করা হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ঘনফুট। বৃহস্পতিবার যা ৬০ কোটি ঘনফুটে নেমে আসে। এ ছাড়া দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন বাড়াতে কূপ খননে জোর দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও এতে শিগগিরই উৎপাদন বৃদ্ধির তেমন সম্ভাবনা নেই। নতুন তিনটি কূপ থেকে কিছু উৎপাদন বেড়েছে।


গত ২৫ মে ব্যবসায়ীদের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সংগঠন যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে শিল্প খাতে গ্যাস-সংকটের অভিযোগ করেন। এর পরদিন জ্বালানি বিভাগ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, গত বছরের চেয়ে শিল্পে এবার বাড়তি গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। ২৮ মে থেকে শিল্প খাতে দিনে আরও ১৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস বাড়তি সরবরাহ করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও