শিশুর খাদ্য তালিকায় মধুমাসের ফলের গুরুত্ব

ঢাকা পোষ্ট ড. মিহির লাল সাহা প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৫, ১২:১৩

জ্যৈষ্ঠ মাসকে আমরা গ্রীষ্ম মৌসুমের ফলের মাস হিসেবে জানি। অনেক সময় জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধুমাস হিসেবেও জানি। মধুমাসে মধুর মধুর রসালো ফল নিয়ে একটু গল্প করা যেতেই পারে। গ্রীষ্মের সময় অনেক রসালো টক-মিষ্টি ফল পাওয়া যায়। এ সময় যে ফলগুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু অন্যতম।


আমরা জানি, ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সব ধরনের ফলে রয়েছে নানা রকম ভিটামিন, খনিজ পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট—যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজমের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন আবার এনজাইমের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। সে কারণে এনজাইমের কাজ সুষ্ঠুভাবে করার জন্য নিয়মিত ভিটামিন গ্রহণ তথা মৌসুমি ফল খাওয়া খুবই দরকার। বর্তমান প্রজন্ম ফলের চেয়ে ফলের জুস খেতে পছন্দ করে। তবে মনে রাখতে হবে, ফলের জুস থেকে ফ্রেশ বা তাজা ফল খাওয়া বেশি উপকারী। কারণ জুস করলে এর ডায়েটেরি ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রেশ ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।


শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সেই বিবেচনায় ফল শিশুর খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেব মনে করতে হবে। ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে পাকা ফল অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। শিশুদের বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে উৎসাহিত করলে তাদের শক্তিশালী হাড়ের গঠন, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, সুস্থ বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করবে।


আগামী প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসবজি খেতে উৎসাহিত করে তাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে যা তাদের সারা জীবন উপকৃত করবে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে যে, অনেক ক্ষেত্রে বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা ফল খেতে তেমন আগ্রহ দেখায় না। তবে পরিবারের প্রধান হিসেবে আপনার সন্তানকে ফল এবং শাকসবজি খেতে উৎসাহিত করুন।


মনে রাখতে হবে কোনো পরিমাণ না খাওয়ার চেয়ে যেকোনো পরিমাণই খাওয়া ভালো। এক্ষেত্রে পরামর্শ হলো যে, যদি আপনি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করেন, তাহলে আপনার সন্তানও আপনার পথ অনুসরণ করবে। কখনো ভাববেন না যে, আপনার সন্তান কোনো নির্দিষ্ট ফল বা শাকসবজি অপছন্দ করে। পরেরবার যখন আপনি সেটি খেতে দেবেন তখনই হতে পারে যেদিন তারা সেটি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে। বয়সের সাথে সাথে শিশুদের রুচিও পরিবর্তিত হয়। মনে রাখবেন শিশু আপনার এবং দেশের ভবিষ্যৎ। ছোট্ট শিশুকে ফলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আপনার। এজন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ফলের বড় ছবি সম্বলিত একটি বই কেনা অথবা বাজার থেকে ছবি সম্বলিত একটি ফলের চার্ট সংগ্রহ করা।


কাজটি আরও সহজভাবে করতে পারেন তা হলো A4 আকারের সাদা শিটে নিজেই ফলের ছবি আঁকুন এবং তারপর বাজার থেকে সেই নির্দিষ্ট ফলটি শিশুকে এনে দিয়ে পরিচয় করে দিতে পারেন। এভাবে আমদের মৌসুমি ফলগুলোর সাথে শিশুদের পরিচয় ঘটিয়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিণত করতে সাহায্য করবে।


মধুমাসের প্রধান ফল আম। আমকে বলা হয় ‘ফলের রাজা’। কাঁচা অবস্থায় আমের রং সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ হয়ে থাকে। তথ্যানুসারে এদেশে প্রায় ৩৫০ প্রকার আমের জাত আছে। পাকা আম ক্যারোটিনে ভরপুর। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে। আম যকৃতের জন্য উপকারী। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে পাকা আম খাওয়ার উপর অল্পস্বল্প বিধিনিষেধ রয়ে গেছে। বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নিবেন।


আম বেশি খেয়ে ফেললে একটু বেশি হেঁটে সেটি খরচ করে ফেলাই উত্তম। আয়ুর্বেদ ও ইউনানি পদ্ধতির চিকিৎসায় পাকা ফল ল্যাকজেটিভ, রোচক ও টনিক বা বলকারকরূপে ব্যবহৃত হয়। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে পাকা আম মহৌষধ। কথিত আছে আম খেলে ঘুম ভালো হয়। ঘুম ভালো হলে মন ভালো থাকে। আর মন ভালো থাকলে কাজে মনোনিবেশ ঘটে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও